

গুরু নানক জয়ন্তী – প্রকাশোৎসব নামেও পরিচিত
কার্তিক মাসের পূর্ণিমার দিনে গুরু নানকের জন্ম হয়েছিল। প্রতিবছর এই দিনটি নানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti) হিসেবে পালিত হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা: গুরু নানক ভারতীয় ধর্মীয়শ্রাস্ত্রে এক কিংবদন্তি মহামানব। তিনি ১৪৬৯ সালের ২৯শে অক্টোবর বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত নানকানা সাহেব নামক স্থানে জন্ম গ্রহন করেন। শিখ ধর্মের এই প্রবক্তা, এই ধর্মের ১০ জন প্রধান গুরুর মধ্যে সর্বপ্রথম ছিলেন। শিখ ধর্মের প্রবক্তা ছাড়াও তিনি হিন্দু ধর্মানুসারীদের কাছে বিশেষ মর্যাদা পান। তিনি মনে করেন, সমাজের প্রতি মানুষের প্রধান কর্তব্য হলো কার্যসিদ্ধিতে বিশেষ তৎপরতা ও চিন্তার একাগ্রতা। কার্তিক মাসের পূর্ণিমার দিনে গুরু নানকের জন্ম হয়েছিল। প্রতিবছর এই দিনটি নানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti) হিসেবে পালিত হয়।


এই বছর ৩০শে নভেম্বর পালিত হবে শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব “নানক জয়ন্তী”। এটি গুরু পর্ব অথবা প্রকাশোৎসব নামেও পরিচিত। গুরু নানকের তার বাবার নাম মেহতা কল্যাণ দাস বেদী ও মায়ের নাম তৃপ্তা দেবী। তার জন্মস্থানে বর্তমানে শিখদের একটি বৃহৎ উপাসনালয় রয়েছে যার নাম গুরুদুয়ারা জনম আস্থান।
[ আরো পড়ুন ] আজ বৈষ্ণবীয় রাসযাত্রা – পূর্ণিমার আলোয় ভরা উৎসব
গুরু নানক জয়ন্তী পালনের দিনটি প্রতি বছর পরিবর্তিত হয় হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক পূর্ণিমায় অর্থাৎ কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে। আসলে সাধারণ ভাবে এই তারিখটি অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পড়ে। তিনদিন ব্যাপী এই উৎসব শিখদের পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিব পাঠের মাধ্যমে সূচনা হয়। পাঞ্জাব সরকার শিখ গুরুর ৫৫২ তম জন্মবার্ষিকী নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার জন্য বিশেষ আয়োজনে ব্যস্ত। যদিও মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় ১লা নভেম্বর থেকে সুলতানপুর লোধি শহরে।
[ আরো পড়ুন ] ফলদায়ক কৌশিকী অমাবস্যা – সাধক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতি !!!
এই শিখ ধর্মের প্রথম প্রবর্তক নানকজি দেখান, গৃহী সন্ন্যাস ঈশ্বরভক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। তাকে যে নামেই ডাকা হোক, তাতে ভক্তি-ভালোবাসার মিশেল ঘটলে ভগবান সাড়া দেন। তিনি সুলতানপুর লোধি থেকে যাত্রা শুরু করে তিনি প্রথম পর্যায়ে আসেন হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। এরপর দ্বিতীয় ভ্রমণকালে সমস্ত দক্ষিণ ভারত থেকে যান শ্রীলঙ্কায়। আর তৃতীয় পর্যায়ে তিনি পৌঁছোন হিমালয়ের ধর্মীয় স্থান, তিব্বত, লাদাখ, কাশ্মীর ও পাকিস্তানে। তিনি মনে করেন, পরমপিতা পরমেশ্বর এক।সর্বদা এক ঈশ্বরেরই আরাধনা করা উচিত। সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজের অন্ন সংস্থান করা উচিত। প্রত্যেকটি প্রাণীর মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করেন। লোভ থেকে দূরে থাকা উচিত।