

বাংলাদেশে বুলেট ট্রেন! – ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৫৫ মিনিটে
বাংলাদেশে এই বুলেট ট্রেনটি (Bullet train in Bangladesh) চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো যাবে ৫৫ মিনিটে। এর ফলে ছয় ঘণ্টার …
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশ পরিবহনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী প্রধান দেশে ট্রেনের ব্যবস্থাকে মজবুত করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে গুরুত্ব পেয়েছে বুলেট ট্রেন। আর এই সমীক্ষা প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় ২০১৭ সালের ১৮ই মার্চ। সেই বছর ৩১শে মে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়। সেই সমীক্ষা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাংলাদেশে এই বুলেট ট্রেনটি (Bullet train in Bangladesh) চালু হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছানো যাবে ৫৫ মিনিটে। এর ফলে ছয় ঘণ্টার জায়গায় সময় বাঁচবে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময়। তবে প্রস্তাবিত এই দ্রুতগতির রেলপথটি যাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে।


একই সাথে রাজধানী ঢাকা থেকে কুমিল্লা বা লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেন লাইন নির্মাণ করা হলে এক ঘণ্টারও কম সময় লাগবে। আর এই রেলপথটি কক্সবাজার পর্যন্ত বাড়ানো হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাতায়াত করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এর জন্য একজন যাত্রীর ২ হাজার টাকার মতো ভাড়া গুণতে হবে। এটি এইমুহূর্তে বাংলাদেশে চলমান আন্তঃনগর রেলের এসি চেয়ারের ভাড়ার তিনগুণ। আধুনিক এই বুলেট রেলটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
[ আরও পড়ুন ] বাংলাদেশে আগামী বছরের SSC-HSC পরীক্ষা পিছাচ্ছে
বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চগতির এই রেল সেবার পরীক্ষার কাজ শেষ করেছে। এজন্য সম্ভাব্য রুট নির্বাচন করা হয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি ৬৯ লাখ ২৯ হাজার টাকার প্রকল্প এটি। টাকার এই রেল প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। সমীক্ষা ও নকশার কাজ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (চীন) ও মজুমদার এন্টারপ্রাইজ (বাংলাদেশ)। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের ৩২১ কিলোমিটার রেলপথ আছে। উচ্চগতির বুলেট রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। ফলে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।