

Garment Workers Strike: গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও অবরোধ
বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে অগণিত গার্মেন্ট শ্রমিকরা (Garment Workers Strike)। গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা রাস্তা …
বাংলাদেশের মানুষ মারণ ভাইরাসের আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে রাস্তা অবরোধ শুরু হাওয়ায় সংক্রামণের প্রসারের ইঙ্গিত মিলছে। বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে অগণিত গার্মেন্ট শ্রমিকরা (Garment Workers Strike)। গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আজ বুধবারের মধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোদ করার কথা। কিন্তু আজকের মধ্যে মালিকদের পরিশোধের ইচ্ছা না থাকায় পথে নেমেছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর আশুলিয়া, উত্তরা, বাড্ডা, ভাটারা, মিরপুর, ভাষানটেক, শাহআলি, তেজগাঁও, মতিঝিল এলাকায় শতশত শ্রমিক বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামে


বাংলাদেশে এখন এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
প্রায় দুই-ঘণ্টা অবস্থানের পর সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকদের আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানো হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশে মহামারী ছড়ানো ভাইরাসকে ঠেকাতে সরকার ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বেশিরভাগ পোশাক তৈরি কারখানাও এখন বন্ধ রয়েছে।
মার্চের বেতন ১৬ই এপ্রিলের মধ্যে ! – আরও জানতে ক্লিক করুন …
তবে সরকার এরই মধ্যে কারখানার শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে মালিকদের। আগামী ১৬ই এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ না করলে মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। দেশের মোট রফতানি আয়ের অন্যূন ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ খাতে কর্মরত শ্রমিকরা অনেক সময়ই কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার শিকার হন। অনেক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন ও বোনাস দিতে গড়িমসি করে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে। কোনো দুর্ঘটনা বা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এর খারাপ প্রভাব পড়বে।