

ভোটের যুদ্ধে বাজেটে উদার রাজ্য
বাজেট এখন নির্বাচনের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে| জন-গণ -মন জয় করতে উপুড় হস্তে নেমে পড়েছেন রাজ্য সরকার|
বাজেট এখন নির্বাচনের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে| জন-গণ -মন জয় করতে উপুড় হস্তে নেমে পড়েছেন রাজ্য সরকার| এবছর ভোট বছরে বাজেটে কল্পতরু হয়ে দানের বৃষ্টি এনেছেন কেন্দ্র। এ বার সামর্থ অনুযায়ী ঝুলি উপুড় করল রাজ্যও। যদিও কেন্দ্রের মতো এই বাজেট অন্তর্বর্তী ছিল না।
প্রশাসনের চাপানউতোর মাঝেই অর্থের দক্ষিণ দুয়ার খুললেন অমিত মিত্র মহাশয়| সোমবার রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানালেন রাজ্যের ৫০ হাজার কর্মহীনকে এককালীন এক লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। জানালেন ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের কথাও। কিন্তু কী শর্তে, কেন বা কীসের ভিত্তিতে কৃষক বাছা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অর্থমন্ত্রীর দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গেই উপভোক্তাদের বাছাই পর্ব সারা হবে।
উদার অমিতের অসীম বাজেট—-
• রাজ্যের ৫০ হাজার কর্মহীন যুবক-যুবতীকে এক লক্ষ টাকা করে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। মোট বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা।
• ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে, চাষিদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৫,০০০ টাকা করে জমা পড়বে
• উল্লেখ রয়েছে আগে বলা বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির কথাও। আয়ের উৎস—-
• ২০১৮-১৯ সালের সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ১,৫২,৬২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮৮,৩৯২ কোটিই এসেছে কেন্দ্রীয় করের ভাগ কিংবা অনুদান থেকে।
• জিএসটি বাবদ আয়ের অনুমান ছিল ১৩,০৯৪ কোটি টাকা। হয়েছে ২৭,১৭৩ কোটি।
• বেশির ভাগ সময় পেট্রল-ডিজেলের দাম বেশি থাকায় মোটা টাকা এসেছে তার বিক্রয় কর খাতে।
দেখা যাচ্ছে , পরিকাঠামো, শিল্প, সামাজিক ক্ষেত্রে নতুন কোনো প্রকল্প না থাকলেও রাজ্যের খরচের বহর কমেনি। আর আয়ের মোটা অংশ এসেছে কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য করের ভাগ ও অনুদান থেকে। জিএসটি বাবদ আয়ও প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি। পেট্রল-ডিজেলের বিক্রয় কর থেকে এসেছে ৭,৩৯০ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের কর্তাদের দাবি, উদার হয়ে প্রতি লিটার তেলে এক টাকা ছাড় না দিলে রোজগার আরও বাড়ত।
খরচের পাশাপাশি আয় বাড়ায় রাজস্ব ঘাটতি কমাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন অমিতবাবু।
২০১৬-১৭ সালে যেখানে বছরে ১৬ হাজার কোটির বেশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল, তা ২০১৮-১৯ সালে সাড়ে ৭ হাজার কোটিতে দাঁড়াতে পারে জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর ৪৯ হাজার কোটি টাকা ধার শোধ করতে হয়েছে। বাজেট পেশের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্য বাজেটের বেশির ভাগ অংশজুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। অদ্ভুত ভাবে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনাকে রাজ্য বাজেটেও বাংলা সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে বাংলা আবাস যোজনা বলা হয়েছে। ক্লাব, মেলা, উৎসবের মাঝেও কিছু ভালো দিকের হদিশ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাননীয় অমিত মিত্র|