

রেশন কার্ড সংশোধনের সময়সীমা বাড়ানো হলো রাজ্যে
রেশন কার্ড সংশোধনের সময়সীমা বাড়ল। আগামী নভেম্বর মাস থেকে আবার রেশন কার্ড সংশোধন করা যাবে।
রাজ্যের প্রায় সকল জায়গাতেই সমস্যা তীব্র আকার নিয়েছিল। একাধিক স্থানে ঝামেলা শুরু হয়েছিল এই রেশন কার্ডকে নিয়ে। ফলে রেশন কার্ড সংশোধনের সময়সীমা বাড়ল। আগামী নভেম্বর মাস থেকে আবার রেশন কার্ড সংশোধন করা যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৫ই থেকে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে রেশন কার্ড সংশোধন করা যাবে বলে এদিন জানান তিনি। পাশাপাশি এবার থেকে দু’ধরনের রেশন কার্ড করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই রেশন কার্ড সংশোধনের সময়সীমা ছিল ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ডেবরা অডিটোরিয়ামের প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করেন, ‘এখনও বহু মানুষের রেশন কার্ড সংশোধনের কাজ বাকি রয়েছে। তাই সরকার আরও সময়সূচি বাড়াবে। পুজোর পরও নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অনেকে আছেন ২ টাকা কেজি চাল পান। আবার কেউ কেউ অর্ধেক দামে চাল পান। আবার অনেকে রেশন তোলেন না। শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবে বঁাচিয়ে রেখেছেন। এর প্রকৃত তথ্য আমাদের হাতে আসলে ভাল হয়। যারা রেশন তুলছেন না, তাদের জন্য বরাদ্দ রেশন সামগ্রী কেন ডিলারকে খেতে দেব? এটা বাদ গেলে সেই টাকা রাজ্যের অন্য উন্নয়নমূলক কাজে আসবে।’
আসলে রেশন কার্ড সংশোধনের কাজের সঙ্গে, সেন্সাসের কাজের সঙ্গে এনআরসি–র কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতি ১০ বছর অন্তর সেন্সাস হয়। ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে হবে। এটা রুটিন কাজ – এটা জনগণনা। এটা ধর্মের ভিত্তিতে হয় না, জাতপাতের ভিত্তিতে হয় না। আগে রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৯ কোটি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১০ কোটির কিছু বেশি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সরকার পরিকল্পনা তৈরি করে। তিনি আরও জানান, ‘‘বন্যায় কারও নথি হারিয়ে গেছে, কারও পুড়ে গেছে, হবে না বলে তাড়িয়ে দেবেন না। ভোটার লিস্টে নাম তুলতে সাহায্য করুন। প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিরাও বাডি বাড়ি যান। বিডিওরা সমীক্ষা করুন, পঞ্চায়েত সদস্যরাও বাড়ি বাড়ি যান। ইচ্ছেমতো কারও নাম বাদ দেবেন না।”