

Amit Shah Kashmir Meeting: ১৫,০০০ কোটি বিনিয়োগ
দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah Kashmir Meeting)।
উন্নতির আলো আসতে চলেছে কাশ্মীরে। উত্তর কাশ্মীরের উপত্যকার পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি একেবারেই কমেনি। আজ বুধবার, দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah Kashmir Meeting)। তারপর তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই গোটা উপত্যকা থেকে বাড়তি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কেন্দ্রের আশা, বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নিলে জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে কাশ্মীরে। আজ সেনা ভর্তির পরীক্ষায় গোটা উপত্যকা থেকে প্রায় ২৯ হাজার যুবক অংশ নেওয়ায় উৎসাহী কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে কাশ্মীরি যুবকদের চাকরির সুযোগ দিতে পারলে কমে আসবে বিচ্ছিন্নতাবোধ, সন্ত্রাসবাদ।
এই উত্তাপ কমার ইঙ্গিতের মধ্যেও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। আজ বৈঠকে তাঁদের বড় অংশই নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান। শ্রীনগরের জুবের স্পষ্ট জানান, ‘‘প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার ও পরিবারের নিরাপত্তার দিকটিও সরকার দেখুক।’’ পঞ্চায়েত সদস্যদের উপরে হামলার আশঙ্কার কথা স্বীকার করেন অমিত শাহ। ফলে আগামী দিনে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার পাশাপাশি দু’লক্ষ টাকার জীবনবিমা করানোর ব্যাপারেও প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছেন শাহ। ঞ্চায়েত সদস্য নাজির আহমেদ-সহ অনেক নেতাই বলেন, ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন উপত্যকার মানুষ।’’ তাঁদের আশ্বস্ত করে শাহ বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে না।
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের ফলে উপত্যকায় ব্যবসা ও বিনিয়োগের আশা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। গত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বিনিয়োগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে দেশ বিদেশের ৪৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে ৩৩টি কোম্পানির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে তথ্য প্রযুক্তি, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ উৎপাদন, হোটেল, প্রতিরক্ষা, পর্যটন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে। সবেমিলিয়ে বিনিয়োগের পরিমান ১৫,০০০ কোটি টাকা। বিনিয়োগের পরিমান ১ লাখ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। ৫ই অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়। কিন্তু ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে কাশ্মীর। স্কুল কলেজ খুলতে শুরু করেছে। শ্রীনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফোন, ইন্টারনেট অকেকটা স্বাভাবিক হচ্ছে। এবার মানুষদের কর্মমুখী করার লক্ষ্যে কাজ করতে চাইছে সরকার।