

Financial Packages: আর্থিক প্যাকেজের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রের উচিত দেশের সমস্ত রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ (Financial Packages) দেওয়া। করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই …
গোটা দেশ এই মুহূর্তে কঠিন বিপদের সামনে সে দাঁড়িয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। লকডাউনের সাথে চিকিৎসার দিকে জোর দিচ্ছে প্রত্যেক রাজ্য। লড়াইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ তহবিল দেওয়ার দাবি তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের উচিত দেশের সমস্ত রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ (Financial Packages) দেওয়া। করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠক থেকে সব দলের সই করা আর্থিক দাবির চিঠি আজ প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি
আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই লকডাউন – আরও জানতে ক্লিক করুন …
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণ ও জনতা কার্ফুর ঘোষণার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ এনে আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানান বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু বিরোধীদের দাবি খারিজ করে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানান, ‘প্রথম দিন থেকে করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকার তৎপর। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বলে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও মানে হয় না। এটা শুধু ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক সমস্যা।’ এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানান , ‘এখন রাজনীতি ভুলে আসুন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানাই, আমরা যাতে করোনার বিরুদ্ধে আরও ভাল করে লড়তে পারি তার জন্য এখন রাজ্যের ঋণ মকুব করা হোক, বুলবুল–বিপর্যয়ের প্রাপ্য অর্থ যেন রাজ্য পায়।’
১০১ দিন পর থামলো শাহিনবাগের আন্দোলন – আরও জানতে ক্লিক করুন …
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে স্পষ্ট হবে জানান, ৫০ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করে এবং সামাজিক প্রকল্পগুলির দায়িত্ব সামলেও করোনা-মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। বেতন দেওয়ার টাকা জোগাড় করতেই ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, রাজ্য সরকারের ভার কিছুটা কমানোর। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার জেরে ট্যাক্সি, অটো, কুলি, ক্ষেতের মজুর, গৃহ পরিচারক-পরিচারিকা, গার্ড, রাস্তার খাবার ব্যবসী সহ বহু মানুষের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এদের সুবিধার্থে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’ আজ রাতের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এর ইঙ্গিত মিলতেও পারে।