

Governor JU Row: যাদবপুরে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল
আজ সোমবার বিনা নিমন্ত্রণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হলেন রাজ্যপাল (Governor JU Row) জগদীপ ধনখড়। আর তার জেরে …
প্রথম থেকেই তিনি কমবেশি বিতর্কের মধ্যে আছেন। কিন্তু এই বিতর্কের চর্চা বাড়াতে তো রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার অঙ্গনে এতো লড়াই কেন? সমাবর্তনে উপস্থিত হওয়া যেকোনো শিক্ষার্থীর কাছেই আনন্দের। এই দ্বিমুখী সম্মান রক্ষার প্রতিযোগিতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আজ সোমবার বিনা নিমন্ত্রণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হলেন রাজ্যপাল (Governor JU Row) জগদীপ ধনখড়। আর তার জেরে রাজ্যপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আটকে রেখেই চলতে থাকে স্লোগান। রাজ্যপালকে দেখানো হয় কালো পতাকা।
এ বার সাম্মানিক ডিলিট পাওয়ার কথা ছিল কবি শঙ্খ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিদেশসচিব সলমন হায়দরের। ডিএসসি পেতেন বিজ্ঞানী সিএনআর রাও এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ দিন সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এলে সমাবর্তন বয়কট করার কথা জানিয়েছিল সব ক’টি ছাত্র সংগঠন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষ পর্ব আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা সচিব মারফত তা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে।’’ ২০১৪-য় ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সময় তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সমাবর্তনে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
যাদবপুর ঘিরে চলতি বিতর্কে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘এঁরা জানেন না এঁরা কী করছেন। সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে বাইপাস সার্জারি করছে।’ ধনখড়ের এই আস্ফালন এবং কটাক্ষকে উপেক্ষাই করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওঁকে আর কী বলব বলুন? ওঁকে এত গুরুত্ব দেওয়ারই বা কী আছে? প্রত্যেক দিনই তো কিছু না কিছু বলছেন। নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে যে ভাবে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে, যে ভাবে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ হয়েছে, তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় রাজভবনের ঘোষবাবুর প্রতি ছাত্রছাত্রীরা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, কিছু করার নেই।’’ সমাবর্তন বরং অনলাইনে হোক।