

Infosys: ইনফোসিসের শীর্ষপদকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত
বিতর্কে জড়াল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। ইনফোসিসের (Infosys) শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল গত মাসেই।
আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ইনফোসিস। বিতর্কে জড়াল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। ইনফোসিসের (Infosys) শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল গত মাসেই। এবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে সিইওর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, স্বল্প মেয়াদী আয় এবং মুনাফার জন্য ‘অনৈতিক আচরণ’ করেছে সিইও। অজ্ঞাতপরিচয় হুইসলব্লোয়াররা এই অভিযোগ তুলেছেন বলে সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, সংস্থার পদ্ধতি মেনে ওই অভিযোগ অডিট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইনফোসিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিরপেক্ষ তদন্তের পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। সংস্থার সিইও সলিল পারেখের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠার পরই মঙ্গলবার এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ পড়ে গেল সংস্থার শেয়ার। এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে খোলা মাত্রই ইনফোসিসের শেয়ার ১০ শতাংশ পড়ে দাঁড়ায় ৬৯১ টাকায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৫.৯৪ শতাংশ পড়ে তা দাঁড়ায় ৬৪৫.৩৫ টাকায়। যা ইনফোসিসের শেয়ার অন্যতম খারাপ দিন বলেই মনে করা হচ্ছে। ইনফোসিস কর্মীদের একাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড সদস্যদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সংস্থার স্বল্পমেয়াদী লাভের কথা ভেবে অনৈতিক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে।
ইনফোসিসের কয়েক জন কর্মী সিইও সলিল পারেখ ও সিএফও নীলাঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনৈতিক পদ্ধতির অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘অনেক ক্ষেত্রে পারেখ এবং রায় অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তাঁদের ই-মেল এবং কথাবার্তার ভয়েস রেকর্ডিং থেকে তা স্পষ্ট।’ গত ২০ সেপ্টেম্বর ইনফোসিসের পরিচালন পর্ষদের কাছে ওই দু’পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন তাঁরা। বোর্ড থেকে কোনও জবাব না পেয়ে একজন হুইসলব্লোয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুইসলব্লোয়ার প্রোটেকশন প্রোগ্রামে চিঠি দেন। তাতে তাঁর অভিযোগ, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাকাউন্টিং বেনিয়ম দেখানো হয়েছে। তবে তদন্তে কোনও খামতি রাখা হবে না বলেও জানান ইনফোসিস চেয়ারম্যান।