

Judge & IPS Officer Transfer: বিচারপতি ও IPS অফিসার বদলি
রাজনীতি ইহারে কয়! বিচারক সরে যেতে (Judge & IPS Officer Transfer) বাধ্য হলেন। দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে চার বিজেপির নেতার বিরুদ্ধে …
রাজনীতি ইহারে কয়! বিচারক সরে যেতে (Judge & IPS Officer Transfer) বাধ্য হলেন। দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে চার বিজেপির নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলি হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরন। তাকে গত সপ্তাহেই পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সেই বদলির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবীরা। গত মঙ্গলবার মাঝ রাতে নিজের বাসভবনে শুনানি ডেকে আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌছে দিতে পুলিসকে নির্দেশ দেন তিনি।
নর্দমায় আইবি অফিসারের দেহ! – আরও জানতে ক্লিক করুন ।
তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলেজিয়ামের নির্দেশ মেনে বিচারপতি মুরলিধরকে বদলি করে দিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি। সত্য সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ! মুরলীধরন হাইকোর্টের অন্যতম দক্ষ বিচারক। এই ধরনের বদলি বিচারব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। তা স্বাধীন ও অবাধ বিচারের পক্ষে বাধা। বুধবার বিচারপতি মুরলীধরন এবং বিচারপতি তলওয়ন্ত সিংয়ের বেঞ্চ দিল্লির হিংসা নিয়ে শুনানিতে বলেছিলেন, চোখের সামনে ১৯৮৪ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা হতে দেবে না। প্রতিটি নাগরিককে জেড প্লাস সুরক্ষা দিতে হবে।
বাস নদীতে, মৃত ২৪ বরযাত্রী – আরও জানতে ক্লিক করুন ।
এখন তিনিই চললেন বদলির খাঁড়া নিয়ে। মাঝ রাতে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। একইসঙ্গে বদলি করা হয়েছে দিল্লির পাঁচ আইপিএস অফিসারকেও। কার্ফুর মধ্যেও অশান্তি ও মৃত্যু থামেনি। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮জন ও আহত দুশোর বেশি। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোকুলপুরীতে। গতকালই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত দোভাল। তিনি জানান, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এসেছি। পুলিস নিজের কাজ করছে। সাধারণ মানুষ একসঙ্গে থাকতে চান। কোনও শত্রুতা নেই। কয়েকজন দুষ্কৃতী হিংসা ছড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইনশাল্লাহ শান্তি ফিরে আসবে।”