

Paramilitary Force in Bengal: নববর্ষের মিষ্টি খেয়েই রাজ্যপাল বললেন
প্যারা মিলিটারি ফোর্স (Paramilitary Force in Bengal) নামানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। রাজভবনের চেনা আলো আবার জ্বলে উঠলো। দু দিন আগেই …
করোনার মধ্যে খবরের শিরোনামে থাকার ইচ্ছা প্রবল। গতকাল প্রতি বছরের প্রথা মেনে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মিষ্টি পাঠানো হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে সৌহার্দের রীতি বজায় রেখেছেন মমতা ব্যানার্জী। আজ সেই মিষ্টির অদৃশ্য চুয়া অম্বল ভোগ করলেন তিনি। রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, করোনা মোকাবিলায় ১০০ শতাংশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, পুলিস ব্যর্থ। সেক্ষেত্রে প্যারা মিলিটারি ফোর্স (Paramilitary Force in Bengal) নামানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। রাজভবনের চেনা আলো আবার জ্বলে উঠলো। দু দিন আগেই তিনি জানান, ‘রাজভবনের সঙ্গে লকডাউন দূর করুন এবং রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর লকডাউন অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক’।


আসলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে খুব একটা সখ্যতা তৈরী করতে পারেননি রাজ্যপাল। তবে শেষ কিছুদিনে বরফ গলতে শুরু করেছিল। মহাবিদ্যালয়ে সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারছিলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা শোনা গিয়েছিল রাজ্যপালের মুখে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও অর্থ প্রদান করেন ও সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আবার কালোমেঘ জমেছে সম্পর্কের আকাশে। সমালোচনার বাজে পড়লো বলে!
মাস্ক ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যসরকার – আরও জানতে ক্লিক করুন …
মহামান্য রাজ্যপাল লেখেন, “করোনাভাইরাস মোকাবিলাতে লকডাউনের সব বিধি কার্যকরী করা উচিত। পুলিশ ও প্রশাসন ১০০ শতাংশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সফল হচ্ছে না। তাই তাদের বাইরে বেরোনোর রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হোক। লকডাউন সফল হওয়া উচিত। পরীক্ষা করে দেখা হোক কেন্দ্রীয় আধা সেনা বাহিনীর বিষয়ে।” কয়েকদিন আগেই সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ অনেকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে, রাজ্যে সেনার প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করছেন।