

Railway Electrification: ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ রেলকে
আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের রেলের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ (Railway Electrification) করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে ডিজেল লোকো…
ভারতীয় রেলকে আরও আধুনিক ও গতিশীল করতে চাইছে কেন্দ্র। গোটা দেশ জুড়ে রেলের সাবলীল প্রসারটাকে সমৃদ্ধ করার একাধিক লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই পথ ধরে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের রেলের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ (Railway Electrification) করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে ডিজেল লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিনগুলোকে বাতিল করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন ‘‘আমরা আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। সেই কারণেই ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত রেলপথই বৈদ্যুতিকীকরণ হবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে রেল-নেটওয়ার্কের পুরোটাই হবে ‘নিট-জিরো এমিশন নেটওয়ার্ক’।’’


দেশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই রেল। প্রতিদিন অগণিত মানুষ ও মালপত্র রেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। দেশের রেললাইনের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ হয়ে গেলে দূষণের মাত্রাও কমবে বলে জানা গিয়েছে। এতে কয়লা খরচ কমবে ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, গোটা দেশেই ট্রেনের গতি বাড়বে এই প্রয়োজনের বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে। রেলমন্ত্রী গোয়েল বলেন, “পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে রেল নেটওয়ার্কের যতটা সম্ভব ইলেকট্রিকের আওতায় নিয়ে আসা যায় তার চেষ্টা করছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে সব ট্রেন ইলেকট্রিকে চালানো শুরু হয়ে যাবে।”
কে এই মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস যিনি রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি ? – আরও জানতে ক্লিক করুন …
এর ফলে অপারেটিং কস্ট, তাও কমে আসবে, ফলে লাভের মুখ দেখবে রেলমন্ত্রক। এই প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে ভারতীয় রেল। দেশের প্রতিটি জোনকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করা যায়। প্রতিটি জোনকে বলা হয়েছে ৩১ বছরের পুরোনো ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। নীতি আয়োগের তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে রেল থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৬.৮৪ মিলিয়ন টন। এই পরিমাণ ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর তার একমাত্র উপায় বিদ্যুতের সাহায্যে ট্রেন চালানো।