

Internet Service: ৪ দিন ইন্টারনেট পরিষেবা থেমে
আজকের এই দ্রুতকর জীবনযাত্রায় ইন্টারনেটের (Internet Service) প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে …
আজকের এই দ্রুতকর জীবনযাত্রায় ইন্টারনেটের (Internet Service) প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা জরুরি হয়ে উঠেছে। অদ্ভুত এটাই যে, চার দিন হলো এই পরিষেবা থেমে আছে। অবাকের আরও বিষয় আছে। সব কোম্পানির পরিষেবা থামানো যায় নি। এয়ারটেল, সব নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব না দিয়ে পরিষেবা চালু রেখেছে। আর বন্ধ বাকি সব পরিষেবা। তাহলে বিপদের কারণ এ উঠবে যে ছবি ও খবর, সেসব এয়ারটেল পরিষেবা নেবে না! ধন্য আমাদের প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে, রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করে দেওয়ার পরই তা আইনে পরিণত হয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন বিরোধী প্রতিবাদ। কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও আবার রেললাইন অবরোধ করে লাগাতার চলতে থাকে প্রতিবাদ। একের পর এক জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন-বাস। থামানো হলো ইন্টারনেট। মালদহ, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং ও বারুইপুরের কিছু অংশ এবং বসিরহাট ও বারাসত মহকুমারও কিছু জায়গায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ব্যাঙ্ক, স্কুল-কলেজ, থানা, বিডিওঅফিস সহ অনেক জায়গাতেই ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। চারদিন সবাই আদিম যুগে ফিরে গেলাম! আজ বৃহস্পতিবার থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার বাসিন্দারা। বাকিদের কোনো আশা নেই। সেখানে উত্তেজনা থামেনি। সরকার বারবার বলা সত্বেও কিছু বহিরাগত অন্যদের ফাঁদে পা দিয়ে অশান্তি করছে। নিরুপায় হয়ে সরকারকে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করতে হচ্ছে। কিন্তু জিও, ভোদার মতন পরিষেবা বন্ধ হলেও, এয়ারটেল সুন্দর ছুটছে। উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনায় কবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে, কেউ জানে না।