

J&K Internet: ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার নির্দেশ
ইন্টারনেটের (J&K Internet) অধিকারও বাক স্বাধীনতারই অংশ। শুক্রবার একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনকে এক সপ্তাহের …
স্বস্তি আসতে চলেছে কাশ্মীরের মাটিতে। ইন্টারনেটের (J&K Internet) অধিকারও বাক স্বাধীনতারই অংশ। শুক্রবার একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ও পরিষেবা পুনর্বিবেচনা করতে বলল শীর্ষ আদালত। সক্রিয় করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইট , ই-ব্যাঙ্কিং। সাত দিনের মধ্যে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা খতিয়ে দেখারও পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের। সেখানে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে এবার শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকার ফলে জরুরি পরিষেবায় তার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।


জম্মু-কাশ্মীরে কেন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে সরকার এ নিয়ে মামলা দায়ের করেন কাশ্মীর টাইমস-এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। বিচারপতি এন ভি রামানা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল আজ শুক্রবার। দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, “তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইন্টারনেট। এবং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতারই একটি অংশ। সুতরাং এ বিষয়ে দ্রুত পর্যালোচনা করতে হবে।” জম্মু ও কাশ্মীরে জারি নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়া পিটিশনের প্রেক্ষিতে একথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।
৩৭০ ধারা রদের পর ১৫৮ দিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই আজ এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বিচারে মানুষের অধিকারে হাত দেওয়া যায় না। নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সব নির্দেশ জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। শীর্ষ আদালত আরও বলে, ‘‘স্বাধীন চলাফেরা, ইন্টারনেট ও মৌলিক স্বাধীনতায় নিষেধাজ্ঞা ক্ষমতার নির্বিচার প্রয়োগ চলতে পারে না। ভিন্নমতে অবদমিত করে রাখার প্রক্রিয়া হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যায় না।” সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণেই স্বস্তিতে কাশ্মীরবাসী।