

টাকা দিয়ে পাতালে নেমে – হেঁটে বাঁচতে হলো রসাতল থেকে – Kolkata Metro Rail Problem Continues
ট্রেন থেকে নেমে লাইন ধরে হেঁটে বাইরে বেরিয়ে এলেন অসহায়, অগণিত যাত্রীরা
কলকাতার গর্বের পরিবহনের হাল পাতালেই প্রবেশ করেছে| অগণিত মানুষ প্রতিদিন তাদের প্রাণ, চলমান অন্ধকার গুহায় রেখে কাজে পৌঁছনোর চেষ্টা করে| সময়ের সাথে পাঞ্জা দিয়ে অফিসে বা অন্য কাজে পৌঁছাতে মেট্রো রেলের সত্যিই কোনো বিকল্প নেই এই মহানগরীতে| ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাটি ফুঁড়ে ট্রেন ছুটলেও, প্রতিদিন বাড়তে চলেছে আতঙ্কের পরিধি| বেশি ভেবে উপায় নেই কারণ, উপরের যানবাহন যে জ্যামের জটে জেরবার|
আবার নজিরবিহীন বিভ্রাট মেট্রোয়। বিদ্যুত বিভ্রাটের জেরে যান্ত্রিক গন্ডগোল। আর তার ফলে আলোআঁধারীর টানেলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়ল ট্রেন। শেষে ট্রেন থেকে নেমে লাইন ধরে হেঁটে বাইরে বেরিয়ে এলেন অসহায়, অগণিত যাত্রীরা। বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার আগুন আতঙ্কে স্তব্ধ হয়েছিল যাত্রা, কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে এধরনের বিভ্রাটের নজির নেই কলকাতা মেট্রোয়। ইতিমধ্যেই ২ জন মেট্রো কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর।
জানা যাচ্ছে , দমদম থেকে বেলগাছিয়া যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেইসময়ই টানেলে ঢোকার পর পরই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ১টা ৫ নাগাদ টানেলের মধ্যে আটকে পড়ে ট্রেনটি।ঘোষণা ছাড়াই, টানেলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকে মৃত ট্রেনটি। ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়েন প্রচুর যাত্রীরা। মৃত্যুর আতঙ্ক গ্রাস করে তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও মেট্রোর উদ্ধারকারী দল। শেষে জলে ভরা লাইনের উপরই নামিয়ে আনা হয় দেড় হাজার যাত্রীকে। আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে মহিলা, শিশু, বয়স্ক নাগরিক সবাই ছিলেন। ব্রিগ্রেডের সভার মতো লাইন ধরে হেঁটে শেষমেশ তাঁরা দমদম পৌঁছন। জানা যাচ্ছে , মেট্রোর থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতেই এঘটনা।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১২টা বেজে ৫৮ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি দমদম স্টেশন ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ার কিছু পরই থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না আসাতেই গাড়ি থেমে যায়। বার বার বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করা হলেও, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ থাকার দায়িত্ব কে নেবে? আর কত বড়ো বিপর্যয় ঘটলে আপনাদের হুঁশ ফিরবে?