

Lander Vikram on Moon: আজ রাতেই চাঁদের মাটিতে পা
আজ, শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই দুই গহ্বরের মাঝেই অবতরণ করতে চলেছে বিক্রম ল্যান্ডার (Lander Vikram on Moon)।
ইতিহাস রচনার শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে গোটা দেশ। আজ, শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই দুই গহ্বরের মাঝেই অবতরণ করতে চলেছে বিক্রম ল্যান্ডার (Lander Vikram on Moon)। সোভিয়েত ইউনিয়ন, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার গৌরব অর্জন করবে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে প্রথম দেশ হিসেবে। ফলে চন্দ্রযান-২ অভিযানের দিকে তাকিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণা করা সব দেশ। বেশিরভাগ সময় রোদের আড়ালে থাকে দক্ষিণ মেরু। জলের অস্তিত্ব পেলে ভবিষ্যতের অভিযান অন্য পথ দেখবে। ভারতের চন্দ্রাভিযান সফল হলে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ নিয়ে ভাববে নাসা। অরবাইটার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দু’দফায় চাঁদের ৩৫x১০১ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছেছে বিক্রম। আজ শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই কক্ষপথেই ঘোরবে।
এই চন্দ্রযানের তিনটি ভাগ। অরবিটার অর্থাৎ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। ল্যান্ডার অর্থাৎ যা চন্দ্রযানকে চাঁদের মাটিতে নামাবে এবং নামবে। আর রোভার, অর্থাৎ মূল অনুসন্ধানকারী যান, যা চাঁদের মাটিতে জল ও খনিজ পদার্থের সন্ধান দেবে। তিনটি অংশ এবং মূল মহাকাশযানের মিলিত ওজন প্রায় ৩৮৫০ কেজি। চন্দ্রযান-২ তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯৭৮ কোটি টাকা। তবে কাজ শেষ হওয়ার পরই অবশ্য রোভারটা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ তার পরও কাজ চালিয়ে যাবে। চাঁদের মাটি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট ক্রমাগত চাঁদের পৃষ্ঠের ছবি তুলে সরাসরি পৃথিবীতে পাঠাবে।
পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে সময় লেগেছে পাঁচ দিন। পেরতে হয়েছে প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার পথ। বিজ্ঞানীদের সবথেকে চিতা থাকবে অবতরণের শেষ ১৫ মিনিট। এটাকেই ইসরোর চেয়ারম্যান ‘সবচেয়ে দুশ্চিন্তার মুহূর্ত’ বলে জানিয়েছেন। এই চিন্তার অধ্যায় শুরু হবে আজ রাত ১টা ৪০ মিনিটে। চাঁদের মাটিতে ভারতীয় বিক্রমের সাহসী পা পড়বে দুটো বাজতে ঠিক পাঁচ মিনিট আগে। এর ১৫ মিনিট পর ওই অঞ্চলের প্রথম ছবি তুলে পাঠাবে বিক্রম সারাভাইয়ের নামাঙ্কিত ল্যান্ডার। তার চার ঘণ্টা পরে ভোরের আলো ফুটলেই সৌরশক্তিতে বলীয়ান রোভার বার হবে বিক্রমের ভেতর থেকে। এরপর ১৪ দিন ধরে চলবে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা।