

Ludwig van Beethoven: সুরের সাধক বেটোফেনের জন্মদিন
বেটোফেন (Ludwig van Beethoven), একজন জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক। তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুরকারদের একজন মনে …
লুডভিগ ফান বেটোফেন (Ludwig van Beethoven), একজন জার্মান সুরকার এবং পিয়ানো বাদক। তাকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুরকারদের একজন মনে করা হয়। তিনি পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ধ্রুপদী ও রোমান্টিক যুগের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ১৭৭০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর জার্মানির বন শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এমন এক সময়ে তার জন্ম, যখন মানুষের কাছে সংগীতের খুব একটা গুরুত্ব ছিলনা। তরুণ বয়সে তিনি সেখান থেকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে আসেন ও সেখানেই বাকী জীবন কাটান। এখানে তিনি ইয়োসেফ হেইডন-এর অধীনে দীক্ষা নেন এবং শিঘ্রই অসামান্যকৌশলী পিয়ানোবাদক হিসেবে খ্যাতিলাভ করেন।


বেটোফেন চেয়েছিলেন সংগীতকে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে৷ সৃষ্টি করেছেন তিনি সোনাটা, সিম্ফনি, বাজিয়েছেন পিয়ানো অর্কেস্ট্রা৷ সংগীতের এই নব্য প্রকাশ সেই সময়ের ধ্রুপদী সংগীতের কেন্দ্র ভিয়েনা শহরে অনেকেই পছন্দ করেননি৷ বেটোফেনই ছিলেন প্রথম সংগীতকার যিনি কারো নির্দেশে সংগীত রচনা করেননি৷ রাজা রাজড়ার প্রভাব থেকে মুক্ত প্রথম স্বাধীন শিল্পী তিনি। স্বরলিপি ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন অনেক বিখ্যাত সংগীত৷যেমনটি অনেক জ্যাজ সংগীতকারও করে থাকেন। ত্রিশ বছরের আগেই তিনি ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তি হারাতে থাকেন, কিন্তু এই ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের মাঝেও তিনি বিশ্বকে বহুদিন ধরে অসাধারণ সব “মাস্টারপিস” উপহার দিয়ে যান।
তিনি ভিয়েনায় পেয়েছেন প্রভূত খ্যাতি ও সম্মান৷ সেই সাথে আর্থিক স্বাচ্ছল্যও ৷ সংগীতানুরাগী কিছু অভিজাত ব্যক্তির নজরে পড়ে বেটোফেনের বিশাল প্রতিভা। তাঁরা তাঁকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসেন। ১৮১০ সালে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান বেটোফেন। ১৮২৪ সালে বিখ্যাত নবম সিম্ফনি শেষ করেন বেটোফেন। বেটোফেন, ফ্যানি নামক একজন মহিলাকে ভালোবাসতেন কিন্তু বিয়ে করেননি। তিনি একটি চিঠিতে তার কথা বলেছিলেন, “আমি কেবল একজনকেই খুঁজে পেয়েছি, যাদের আমি কখনও সন্দেহ করব না।” ১৮২৬ সালের মার্চ মাসে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন সংগীত জগতের কালজয়ী এই ব্যক্তিত্ব৷