

Rajeev Dhavan: মামলা থেকে বাদ মুসলিম পক্ষের আইনজীবী
ধাওয়ান আর নেই মামলায়। একটা বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অযোধ্যা মামলায় মুসলিম আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান (Rajeev Dhavan)।
ধাওয়ান আর নেই মামলায়। একটা বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অযোধ্যা মামলায় মুসলিম আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান (Rajeev Dhavan)। আজ মঙ্গলবার, তিনি ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, “অযৌক্তিক ভাবে জামিয়াৎ-উলেমা-ই-হিন্দ নামে মুসলিম সংগঠনটি তাঁকে মামলা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সোমবারই কয়েক দশক পুরনো রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিরোধের সমাধানে গত মাসে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যালোচনা করার জন্য আবেদন জানায় ওই মুসলিম সংগঠনটি। জামিয়াতের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড ইজাজ মকবুল আমায় জানান যে বাবরি মামলা থেকে আমায় বরখাস্ত করা হয়েছে। কোনও আগাম ঘোষণা ছাড়াই আমাকে ‘বরখাস্ত’ করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠান তিনি। ওই চিঠিতে জানানো হয় যে আমি আর রায় পর্যালোচনা সংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকবো না”
কোথাও যেন দেশের সামনের সারিতে থাকা মসলিন সংগঠনগুলির মধ্যে ফাটল ধরেছে। তাই অযোধ্যার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর প্রক্রিয়া থেকে বরখাস্ত করা হল এক সিনিয়র অ্যাডভোকেটকে। আদালতে পুনর্বিবেচনার মামলার শুনানিতে তিনি থাকবেন না বলে জানিয়েছেন। জমিয়তের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড এজাজ মকবুল তাঁকে অপসারণের চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে রাজীব ধাওয়ান নাকি অসুস্থ তাই তিনি এই মামলায় আর লড়তে পারবেন না। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে যে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি আর জড়িত নন। রাজীববাবু ‘জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ’-এর তরফে রিভিউ পিটিশন করেছিলেন শীর্ষ আদালতে।
তিনি স্পষ্ট ভাবে জানান, “আমাকে জানানো হয়েছে যে জামিয়াতের প্রধান মওলানা আরশাদ মাদানি ইঙ্গিত দেন যে আমার শরীর ভালো নেই, তাই আমাকে এই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। এটা একদম বাজে কথা। তার আইনজীবী এজাজ মকবুলকে আমাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তাই তিনি ওই চিঠি আমায় পাঠান, কিন্তু মামলা থেকে আমায় সরানোর কারণটি সন্দেহজনক এবং মিথ্যা”। অযোধ্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। মৌলনা আসাদ মাদানি ও জমিয়তে উলেমা এ হিন্দের পক্ষ থেকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। ফলে মুসলিম সংগঠনের মাঝেই দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।