

School Prayer: স্কুলের প্রার্থনাতে সংবিধানের প্রস্তাবনা
আগামী ২৬শে জানুয়ারি থেকে স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ (School Prayer) করবে পড়ুয়ারা। তৈরী হবে এক নতুন ইতিহাস। মহারাষ্ট্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী …
নিয়ম মেনে শুধু জাতীয় সংগীত নয়, এর সাথে সংবিধানের সাথে ছাত্রছাত্রীদের পরিচিত হতে হবে। দেশের প্রথম এই বিষয়টি আসছে মহারাষ্ট্রে। আগামী ২৬শে জানুয়ারি থেকে স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ (School Prayer) করবে পড়ুয়ারা। তৈরী হবে এক নতুন ইতিহাস। মহারাষ্ট্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ষা গোয়াড়িকর এই তথ্য জানিয়েছেন। সাধারণত স্কুলে জাতীয় সংগীতের সময়ই হবে এই প্রস্তাবনা পাঠ। প্রস্তাবনা পাঠ সংবিধানের সার্বভৌমত্বের অংশ। গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে যে সরকারি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে, তা অনুযায়ী ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং সাম্যের আদর্শ স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।


একটি নির্দেশিকা জারি হল মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে। এই রাজ্যের সকল পড়ুয়ারা প্রতিদিন সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করলে তারা বুঝতে পারবে এর গুরুত্ব। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই স্কুলে প্রস্তাবনা পাঠ বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের শিক্ষামন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক। মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড় জানান, “ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব, স্বাধীনতা, বিচারব্যবস্থা, সাম্য, ভাতৃত্ববোধ ও মূল্যবোধের সম্পর্কে সকলের অবগত হওয়া প্রয়োজন। সংবিধান সম্পর্ক সম্মক জ্ঞান জরুরি। সেই কারণে প্রতিদিন সকালে প্রার্থনার সময় ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। এতে পড়ুয়ারা আরও বেশি দায়িত্ববান এবং উন্নত নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে।”
মহারাষ্ট্র যখন কংগ্রেস ও এনসিপি-র জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল সেই ২০১৩ সালে প্রথম এই নির্দেশিকা জারি হয় যে পড়ুয়ারা স্কুলে নিয়মিত সংবিধানারে প্রস্তাবনা পাঠ করবে। তবে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২০-র ২১ জানুয়ারি সেই পূর্বতন সরকারের নীতি বলবৎ না হলেও প্রস্তাবনা পাঠের অংশটি চালু হবে। সাম্প্রতিক এই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকার প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রস্তাবনার বর্ণনা দেওয়া বোর্ড কিংবা ফলকের ব্যবস্থা করতে। সংবিধান নিয়ে স্কুলে কুইজ, প্রতিযোগিতা, অঙ্কন, স্লোগান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।