

Sadhvi Pragya: প্রতিরক্ষা কমিটি থেকে সরলেন
লোকসভায় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Sadhvi Pragya)।
কয়েকদিন আগেই লোকসভায় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Sadhvi Pragya)। তিঁনি না চাইলেও,বিতর্ক তাঁকে ঠিক খুঁজে বার করে! ইতিহাসের অগাধ পান্ডিত্য! মালেগাঁও বিস্ফোরণে ২১ অভিযুক্তের মধ্যে তাঁর নাম ১৪ নম্বরে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এতো কিছুর মধ্যেও টাকার আনা হয়েছিল দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটিতে। কি দাপট! জাতীয় কংগ্রেস জানিয়েছিল ‘এটা গোটা সামরিক বাহিনীর অপমান’। তারপর মহারাষ্ট্র ঝড়ে একটু বেকায়দায় পদ্ম শিবির। তাই তাড়াহুড়ো করে বোদায় জানানো হলো তাঁকে।
লোকসভা ভোটের সময় হিন্দুত্বের তাস খেলতে খেলতে ভোপাল কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহের বিরুদ্ধে আচমকাই তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। তার পর নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রাজ্ঞ এই প্রজ্ঞা। গত বুধবার লোকসভায় এনপিজি নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে ফেলেন। পরিস্থিতি সামাল প্রজ্ঞাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তাঁকে শোকজও করা হয়েছিল। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রজ্ঞা। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁকে কোনওদিনই ক্ষমা করতে পারবেন না। দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা জানান, ”বিজেপি কখনও এই ধরনের আদর্শ বা বক্তব্যকে সমর্থন করে না। সংসদে তাঁর গতকালের মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দাজনক।”
তাই গডসে নিয়ে মন্তব্য করায় গতকাল বৃহস্পতিবার, সেই পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করার প্রস্তাব করেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির সংসদীয় বৈঠকেও যোগ দেবেন না ঠাকুর।’ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভোপালে গিয়ে তাঁকে ‘প্রকৃত দেশপ্রেমিক’ বলে মন্তব্য করেন। বলেছিলেন, ‘নাথুরাম গডসেজি দেশভক্ত থে, হ্যায় ঔর রহেঙ্গে। ওঁকে যাঁরা সন্ত্রাসবাদী বলেন, তাঁরা নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখুক। নির্বাচনেই তাঁরা উত্তর পাবেন।’ কিন্তু দেশের আবহাওয়া সুবিধারর নয়, তাই তাঁকে সরানো হলো।