

Narada Sting Operation Case: এলেন সৌগত রায় ও মদন মিত্র
দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে নারদা কাণ্ডের (Narada Sting Operation Case) বিষয়। প্রায় প্রতিদিনই থাকছে বিখ্যাতদের হাজিরা ও জেরা।
দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে নারদা কাণ্ডের (Narada Sting Operation Case) বিষয়। প্রায় প্রতিদিনই থাকছে বিখ্যাতদের হাজিরা ও জেরা। আজ মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে আসেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। আসলে এই নারদ কাণ্ডে ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য গত শুক্রবার থেকে একাধিক তৃণমূল নেতাদের স্মরণ করেছে সিবিআই। প্রথমে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে তাঁর ভয়েস স্যাম্পল দিয়ে আসেন। গতকাল সোমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অবিভক্ত বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা আসেন। সেই পথ ধরে আজ পৌঁছান অধ্যাপক সৌগত রায় এবং মদন মিত্র। নিজাম প্যালেস থেকে সাংসদ সৌগতবাবু বলেন, “সিবিআই কোর্টের অর্ডার রয়েছে ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য। সেই জন্য আমায় ডাকা হয়েছিল। দু’জন সাক্ষীকে সামনে রেখে আমার ভয়েস সিবিআই রেকর্ড করেছে।”
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, নারদ কাণ্ডে লোকসভার সাংসদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অনুমতি চেয়েছে সিবিআই। এ দিন সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সৌগতবাবু বলেন, “আমি কিছু জানি না। আমায় এ ব্যাপারে স্পিকার কিছু বলেননি।”
এই বিতর্কিত নারদা স্টিং ফুটেজে দেখা যায়, ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন সাংসদ সৌগত রায়। ২০১৪ সালে ২৭ এপ্রিল তিনি ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ম্যাথুর দাবি, সৌগত রায় সেই সময় টাকার বিনিময়ে তাঁকে ব্যবসায় সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপর তদন্তের জল অনেক দূর গড়িয়েছে।
তবে নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ আদালতের দ্বারস্থ হলেন। প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের ভাই আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, গত ডিসেম্বরে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল। তিনি এখন কথা বলার অবস্থায় নেই। তাই তাঁকে যেন আরও তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। বিচারপতি মধুমিতা মিত্র এই মামলাটি রিলিজ করে দেন। তবে আগামী সপ্তাহে এই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। নারদাকাণ্ডে জাল গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। মুকুল রায় বাদ দিয়ে ১০ জন অভিযুক্ত সাংসদ বিধায়ককে ভয়েস রেকর্ডের জন্য সমন পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় এখনো আছেন, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ আরও অনেকে।