

অনুব্রতর হয়ে কাজ করতে চান না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) বিরোধ …
নিজস্ব সংবাদদাতা: বীরভূমে তৃণমূলীয় অস্বস্তি সামনে আসছে। দেখতে দেখতে এসে গেলো বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। এইমুহূর্তে সামনে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) বিরোধ প্রকাশ পেয়েছে। বীরভূমের “গুড়-বাতাসা”নেতার অধীনে মঙ্গলকোটে কাজ করতে পারবেন না বলে জানালেন স্থানীয় বিধায়ক। সম্প্রতি সাঁইথিয়ায় এক জনসভাতে আগামী বিধায়ককেই প্রার্থী বলে ঘোষণা করেন অনুব্রত। সেখানেই চরম ভাবে ক্ষেপেছেন সিদ্দিকুল্লা।


তিনি জানান, “ তৃণমূল দল বললে কাজ করতেই হবে। কিন্তু আমাকে মঙ্গলকোটে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। আজ আমি এটা পরিষ্কার বলে দিলাম। আমি ভালো ভাবে ওর মেজাজ চিনি, জানি। গত নির্বাচনেও তারা কী করেছে সকলে সবটা জানে। উনি দলের বড় খেলোয়াড়। আমি সেই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই। তাই মারামারি করতে চাই না। তবে আমি মঙ্গলকোটে হাত পোড়াতে যেতে পারব না।”
[ আরো পড়ুন ] ৬ই ডিসেম্বর ক্লার্কশিপ পরীক্ষা – পিএসসি ই-অ্যাডমিট কার্ড দেবে
তিনি মনে করেন, বীরভূম থেকে তৃণমূল নেতারা গিয়ে আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটে দলের সংগঠনে ক্যান্সার ধরিয়ে দিয়েছে। জামাত প্রধানের চ্যালেঞ্জ, তৃণমূল দল পাশে না থাকলে বোঝা যাবে, ওই নেতার ওজন ৭০ কিলো না ৫ কিলো। একই সাথে তিনি বেআইনি বালি খাদান নিয়ে সরব হয়েছেন। তার বেশ কিছু অনুগামীদের ইচ্ছা করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক। তবে অনুব্রতবাবু এবিষয়ে একেবারেই উদাসীন। তিনি জানান, কে কী বলল তাতে তার কিছু যায় আসে না।