

১৮ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মমতা – ৩০শে জানুয়ারি ঠাকুরনগরে শাহ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, সেদিন তেখালি ব্রিজের পাশে তিনি (Mamata Banerjee in Nandigram) সভা করবেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের হওয়াতে উত্তাপ বেড়েছে। প্রধান সব রাজনৈতিক দল প্রচারে নেমেছে। বাংলার গদির লক্ষ্যে ছুটে চলেছে পদ্ম ও ঘাসফুল। আগামী ১৮ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে এক জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনও ঘোষণা করেনি তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, সেদিন তেখালি ব্রিজের পাশে তিনি (Mamata Banerjee in Nandigram) সভা করবেন। তবে আগামী ৭ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু জেলার বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই সভা বাতিল করা হয়েছে।


এরই মাঝে আবার বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার লক্ষমতা পেতে নির্বাচনের আগে কোমড় বেঁধে নেমেছে বিজেপি। আগামী ৩০শে জানুয়ারি, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে তিনি সমাবেশে থাকবেন। ভোটের আগে এদিন বনগাঁতে সভা করবেন অমিত শাহ। শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা করবেন। বিজেপি সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘‘অমিত শাহ এখানে গুরুত্বপূর্ণ কথা জানাবেন। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে সবটা তিনি জানাবেন। সিএএ কার্যকর করা নিয়ে মতুয়ারা সংশয়ে। এবার এখানে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই সমস্যা দূর করবেন। আমরা এটাই চেয়েছিলাম। আমরা আনন্দিত।’’
[ আরো পড়ুন ] শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার
গত ১৯শে ডিসেম্বর, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর ঠিক একমাস পরে নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা ব্যানার্জী। মমতার ৭ই জানুয়ারির পাল্টা ৮ই জানুয়ারি জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মমতার সভার নতুন দিন ঘোষণার পর শুভেন্দু এখনও পাল্টা সভার কথা ঘোষণা করেননি। এদিকে বেশ কয়েকমাস ধরে বনগাঁর সংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে গেরুয়া দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
[ আরো পড়ুন ] মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা – ইস্তফা !!!
একাধিকবার শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানাচ্ছিলেন, সিএএ লাগু হলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব যে নিশ্চিত হবে, তা যেন জানানো হয়। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। মতুয়াদের হাতে অনেক আসন দাঁড়িয়ে আছে। ফলে শাহের আগমনে সেই চাপ কমতে পারে।