

নন্দীগ্রামে মধ্যরাতে শুভেন্দুর শহীদ তর্পন, শ্রদ্ধার সাথে
রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গাবেড়া শহীদ মিনারে মাল্যদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari Rally Midnight)। গভীর রাতে হলো …
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার রাজনীতিতে একটা চেনা ব্যতিক্রমী নাম শুভেন্দু অধিকারী। খুব সম্প্রতি তিনি দল পাল্টেছেন। নতুন দলে এসে বাড়তি দায়িত্বের সাথে পেয়েছেন নিরাপত্তা ও ভারী পদ। প্রতিদিন ব্যস্ত আছেন নানা কর্মসূচিতে। নন্দীগ্রাম একটা অন্য সমীকরণের নাম। এখানে বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গাবেড়া শহীদ মিনারে মাল্যদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari Rally Midnight)। গভীর রাতে হলো শহীদ তর্পন।
নন্দীগ্রামের ভাঙাবেরিয়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা থেকে নেতারা, বিশ্বাসঘাতক বলেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। গত ২৭শে নভেম্বর, শুভেন্দুবাবু সকলের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন, “৭ই জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগে বন্ধুরা আসবেন তো?”


কথা রাখলেন। সূর্য ওঠার অনেক আগেই তিনি নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান। সেই ২০০৭ সালের ৭ই জানুয়ারি। এই দিন জমিরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ভরত মন্ডল, শেখ সেলিম ও বিশ্বজিৎ মাইতির দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়া সেতুর কাছ থেকে তাদের দেহ মেলে ৷ এই তিন জনকে জমি রক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ সম্মান দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্মরণ করেই প্রতি বছর ভাঙাবেড়িয়াতে শহীদ স্মরণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের আগেই শ্রদ্ধার কাজ সেরে ফেললেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই দায়িত্ব তিনি পালন করলেন বিজেপির হয়ে।
[ আরো পড়ুন ] ১৮ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মমতা – ৩০শে জানুয়ারি ঠাকুরনগরে শাহ
এই অনুষ্ঠানে মোমবাতি হাতে হাজির ছিলেন এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ। অভিযোগ উঠছে , এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ফাটায়। শুভেন্দুবাবু জানান, ‘বিগত দিনগুলিতে অনেকে এই নন্দীগ্রামে আসেননি, আগামী দিনেও আসবেন না। এই বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অনেকের অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখানে আসিনি। এখানে সাধারণের একজন হিসেবে এসেছি।’ একই সাথে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি। আজ সকাল নটায় নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে সভা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
[ আরো পড়ুন ] মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা – ইস্তফা !!!