

চীনের বাণিজ্যিক পথে জোরালো প্রত্যাঘাত ভারতের
চীন অনেক দিক দিয়ে ভারতের (India China Trade) থেকে এগিয়ে। ফলে কূটনীতির অঙ্ক কষেই ভারতকে এগিয়ে যেতে হবে। চীনের সাথে শান্তিচুক্তি স্থাপিত …
নিজস্ব সংবাদদাতা: চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশই তলানিতে ঠেকছে। মাথা ঠান্ডা রেখে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চীন অনেক দিক দিয়ে ভারতের (India China Trade) থেকে এগিয়ে। ফলে কূটনীতির অঙ্ক কষেই ভারতকে এগিয়ে যেতে হবে। চীনের সাথে শান্তিচুক্তি স্থাপিত হলেও এখনও লাদাখের কিছু জায়গায় ড্রাগন বাহিনী আছে। ফলে বেশি সতর্ক হচ্ছে ভারত। সামরিক নিরাপত্তার স্বার্থে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল ভারত। ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির পক্ষ থেকে বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য সীমান্তের এলাকা ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলো।


কেন্দ্রকে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির ক্ষেত্রে দরপত্রের প্রক্রিয়ায় চীন সংস্থার প্রবেশের পথ কার্যত বন্ধ। এক সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আছে এমন দেশগুলির সংস্থাকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ , রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্বশাসিত সংস্থার প্রকল্পে শামিল হতে গেলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিবদ্ধ করতে হবে। নথিবদ্ধকরণের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। এর সাথে বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন ] ভারতে পুতিন, বছরের শেষে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে
রাজ্য সরকার বা রাজ্য সরকারি সংস্থার প্রকল্পে নামার আগে নথিবদ্ধকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ রাজ্য গঠন করবে। তবে করোনা মোকাবিলায় ওষুধ ও পিপিই ইত্যাদি সামগ্রীর ক্ষেত্রে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। চীনা সংস্থাগুলির নথিবদ্ধকরণের বিষয়টি দেখবে Department for Promotion of Industry and Internal Trade ।
[ আরও পড়ুন ] G7 Summit 2020: সম্মেলনে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী মোদি
ভারতে বাণিজ্য করতে গেলে DPIIT-র কাছে আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই আবেদন পৌঁছাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের কাছে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললে ভারতে বিনিয়োগ করা যাবে। ফলে যুদ্ধ ছাড়াই, কূটনীতির অঙ্ক জমে উঠেছে।