

ব্যবসায়ী ৬টি ব্যাঙ্কের ৪১৪ কোটি টাকা নিয়ে পলাতক
এবার সামনে এলো রামদেব ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (Ramdev International) নামে বাসমতি চালের ওই ব্যবসায়ীর নাম। ইনি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ধার করেছেন মোট ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।
সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। ভারতের চেনা ছবি নতুন করে ধরা দিলো। বিষয় সেই ঋণ খেলাপি ও পলায়ন। অনেক পরে জানা যায়। তদন্ত শুরু হয় কোনোক্রমে। এভাবেই দিনের পর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে প্রবাসী হয়েছে। এবার সামনে এলো রামদেব ইন্টারন্যাশনাল (Ramdev International) লিমিটেড নামে বাসমতি চালের ওই ব্যবসায়ীর নাম। ইনি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ধার করেছেন মোট ৪০০ কোটি টাকারও বেশি। এই টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন মোট ৬টি ব্যাঙ্ক থেকে। গত ২৮শে এপ্রিল ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে সিবিআই।
কেন্দ্র ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেবে – আরও জানতে ক্লিক করুন …
রামদেব ইন্টারন্যাশনাল:
রামদেব ইন্টারন্যাশনাল ৬টি ব্যাঙ্কে থেকে বেশ দক্ষতার সাথে ধার নিয়েছে মোট ৪১৪ কোটি টাকা। ললিত মোদী, নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, সঞ্জীব চাওলা ও ক্রিশ্চিয়ান মাইকেলের কাহিনী সকলের জানা। বহু কোটি টাকা পকেটে পুরে প্রত্যেকেই বিদেশ পাড়ি দিয়েছে। বিদেশে বিচারের পর্ব চলছে তাদের দেশে ফেরানোর জন্য। সেই টাকা উদ্ধার হবে কিনা, কেউই জানে না।তবু এসবের মধ্যে খুব সহজেই নতুন ঋণ খেলাপি পলাতকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
Jio এর বৃহস্পতি তুঙ্গে – ১১,৩৬৭ কোটি টাকার ৩য় লগ্নি – আরও জানতে ক্লিক করুন …
দেশের টাকা লুট:
এই রামদেব সংস্থাটি, স্টেট ব্যাংক থেকে ১৭৩.১১ কোটি, কানাড়া ব্যাংক থেকে ৭৬.৯ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ৬৪.৩১ কোটি টাকা, সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে ৫১.৩১ কোটি টাকা, কর্পোরেশন ব্যাংক থেকে ৩৬.৯১ কোটি টাকা এবং আইডিবিআই ব্যাংক থেকে ১২.২৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। নিয়ম মতে জানা যায় সংস্থার মালিকরা সকলেই পলাতক। দেউলিয়া ঘোষণার পর সংস্থাটির সম্পত্তি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন SBI কর্তারা। কোনো মালিকরা উপস্থিত ছিলেন না তবু ২০১৬ সালে অভিযোগ করা হয়নি। এভাবেই দেশের টাকা লুট হতেই থাকে।