

তুরস্কে, বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানের বিয়ে কেমন ছিল ?
টলিউড নায়িকা ও বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান ও বস্ত্র ব্যবসায়ী নিখিল জৈন বাঁধা পড়তে চলেছেন সাত পাকে।
আজই হতে চলেছে নুসরাত জাহানের বহু প্রতীক্ষিত বিয়ে । টলিউড দেখতে চলেছে তাদের প্রথম ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। তুরস্কের বোদরুম সেজে উঠেছে বিয়ের সাজে। সমুদ্রের হাওয়ায়ও আজ কেবলই বিয়ের গন্ধ। বর থেকে বরকর্তা পৌঁছে গিয়েছেন অনেক আগেই। কনেও ব্যস্ত আছেন গত কয়েক দিনের উৎসবের মেজাজ নিয়ে। আজ রাতেই হবে অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রস্তুতি তুঙ্গে ।
‘হেভিওয়েট ওয়েডিং’— এ কথার যোগ্য দাবিদার এই বিয়ে। টলিউড নায়িকা ও বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান ও বস্ত্র ব্যবসায়ী নিখিল জৈন বাঁধা পড়তে চলেছেন সাত পাকে। প্রথমে ধরা হয়েছিল, ইস্তানবুলই নাকি নুসরতের পছন্দের ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। কিন্তু বিয়ের কার্ড ছাপার পর দেখা যায় গ্রিক স্থাপত্যেই হার মেনেছেন হবু দম্পতি। ভোটের পর যখন সমগ্র বসিরহাট এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের ভয় তখন শাসক চললেন বিয়ে করতে ।


এই অভূতপূর্ব বিয়ের আসর বসছে বোদরুমের ‘সিক্স সেন্সেস কাপলাঙ্কায়ায়’৷ প্রাচীন স্থাপত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে এ জায়গা পর্যটকদের নজর কাড়ে। প্রায় এক লক্ষ বর্গফুট এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা গোটা এলাকায় রয়েছে ছ’টিরও বেশি অফিসিয়াল স্যুট, ১৪১-টি গেস্ট রুম।
বিয়েতে একেবারেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নুসরত ও নিখিল। টলিউড থেকে একমাত্র নিমন্ত্রণ পেলেন নুসরতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । শনিবার তুরস্ক পৌঁছে নুসরতের সঙ্গে নিজের ছবিও পোস্ট করেছেন মিমি। ফ্লোরাল প্রিন্টের ড্রেস পরেছেন মিমি।
হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, ‘এনজেঅ্যাফেয়ার’ অল সেট। অর্থাৎ সব রেডি এখন বাগদান হলেই হয় ।
ইয়ট পার্টি, বোহেমিয়ান মেহেন্দি, পুল পার্টির পর ১৯ জুন সকালেই সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সান কিসড পার্টি। সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। বিলেতি থেকে দেশি এমন ফিউসন বিয়ে বাঙালি আগে বোধ হয় দেখেনি ।
নুসরতের হার না মানা জেদ ও স্পষ্টবাদী হওয়ার গুণ বারবরাই মন ছুঁয়েছিল বন্ধু নিখিল জৈনের । বন্ধুত্ব থেকে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হতে বেশি সময় লাগেনি। বিয়ে নিয়ে খুবই উত্তেজিত বর নিখিল। মেহেন্দির অনুষ্ঠানের পর নিজের ছবি পোস্ট করে সে কথাই জানিয়ছেন তিনি,উল্লাসের সঙ্গে ।
এক এক অনুষ্ঠানের জন্য এক একটা পোশাক ও থিম ভেবে রেখেছেন নুসরত-নিখিল। ইয়ট পার্টিতে দু’জনেই পরেছিলেন সামার ফাঙ্ক। মেহেন্দির থিম ছিল একেবারেই বোহেমিয়ান টাইপ। সঙ্গীতের জন্য ইন্দো-ওয়েস্টার্ন। তবে আজ রাতের পার্টিতে হবু বর-বউ পরবেন ডিসাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা লেহঙ্গা। নিখিল পরবেন সব্যসাচীর ডিজাইন করা ভারী ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক।
খাওয়াদাওয়ার ঢালাও আয়োজনও নজর কাড়বে বইকি। স্থানীয় কুইজিনের পাশাপাশি বিয়ের ভোজে ভারতীয় খাবারও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট ভাবে মেনু কী হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। এখানেও ইন্দো ওয়েস্টার্ন এর ছোয়া যে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
তবে বিয়ের দিন শুধু প্রিয়বন্ধু মিমিকে নিমন্ত্রণ করলেও টলিপাড়া ও সদ্য শুরু করা রাজনৈতিক জীবনের বন্ধুদের ভোলেননি নুসরত। দেশে ফিরে ২৫ জুন আইনি মতে বিয়ে সারবেন তাঁরা। সেই পার্টিতে অবশ্যই নিমন্ত্রিত থাকবেন টলিউড ও রাজনৈতিক জগতের বন্ধুরা। নুসরাত তার সংসদীয় কেন্দ্র বসিরহাট নিয়ে একটিও কথা বলেননি বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো কোনো পোস্ট করেননি ।