

অতি আধুনিক ৫জি পরিষেবা – যোগাযোগের দ্রুততর মাধ্যম
৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি (5G Technology) , হলো উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক। এই ৫জি প্রযুক্তির মধ্যে …
নিজস্ব সংবাদদাতা: এইমুহূর্তে পৃথিবীর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমই হলো মোবাইল ফোন। হাতের তালুতে গোটা বিশ্বকে ধরা যায় নির্ভুল ভাবে। সময়ের নিয়মে এই পরিষেবা ক্রমশ আধুনিক ও মসৃন হচ্ছে। ৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি (5G Technology) , হলো উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক। এই ৫জি প্রযুক্তির মধ্যে আছে মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যান্ডের প্রণয়ন, যা প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট (গিগাবাইট/ সেকেন্ড) গতি আনতে সক্ষম। এটি আসলে ৪জি এর ন্যূনতম ১০ গুণ বেশি কর্মক্ষমতা প্রদানে সক্ষম। “লো-ব্যান্ড ৫জি” ও “মিড-ব্যান্ড ৫জি”, ৬০০ মেগাহার্টজ থেকে 6 গিগাহার্জ, বিশেষ করে ৩.৫ থেকে ৪.২ গিগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে।


এই পরিষেবার মধ্যে আছে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’। আগামী বছরগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্যে কোটি কোটি ব্যান্ডউইথ খেকো যন্ত্র ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হবে। আর সেই ক্ষেত্রে 5G নেটওয়ার্কে কত ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গ নির্ধারণ করতে হবে, ব্যান্ডউইথের মান কী দাঁড়াবে ও কী ধরনের কাঠামোর প্রয়োজন হবে সেই বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। এই ২০২০ সালেই ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধাযুক্ত পণ্য দাঁড়াবে পাঁচ হাজার কোটিরও বেশি। ফলে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির মধ্যেও মৌলিক পরিবর্তন আসবে।
[ আরো পড়ুন ] টিভি দেখার খরচ বাড়বে – নতুন নিয়মে অবিচল ট্রাই
এই ৫জি গিগাবাইট এলটিই সুবিধা সম্পন্ন এই স্মার্টফোনের গতি হবে ১ গিগাবাইট পার সেকেন্ড বা ১জিবিপিএস। এছাড়াও, ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোর্যামিক ভিআর ভিডিও ও ইনস্ট্যান্ট ক্লাউড স্টোরেজ সিস্টেম থাকছে। বিনোদনের সাথে থাকছে আল্ট্রা হাইফাই মিউজিক, সিনেমা ও স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর। পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট চালুর জন্য যুক্তরাজ্যের সাথে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতে Jio এই ৫জি-এর পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
মনুষ্য জাতির উন্নতির চিবিকাঠি আছে টেকসই পরিকাঠামো ও দ্রুততর যোগাযোগ ব্যাবস্থার হাতে। শিক্ষা ও দীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ফোনকে ঈশ্বরিক শক্তি হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কারণ, এক লহমায়, কুণ্ডলিনী যোগ ছাড়াই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে। আর ইন্টারনেট হলো এর মাধ্যম। আজ সামাজিকতা থেকে মানবতা, হিংসা থেকে প্রতিবাদ, অহংকার থেকে ধর্ম সকলপ্রকার পার্থিব ও পরলৌকিক অনুভূতি প্রদর্শনের হাতিয়ার এই ইন্টারনেটে বসবাসকারী সোশ্যাল মিডিয়া। আর এখানেই আসতে চলেছে গতি।