

Asha Bhosle: প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে
ভুবনডাঙার সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি কালজয়ী শিল্পী (Asha Bhosle)। তার কণ্ঠের সুরেলা মাধুর্যে ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা অগণিত সুরোরসিকদের ভরিয়ে দেয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলে। ভুবনডাঙার সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি কালজয়ী শিল্পী (Asha Bhosle)। তার কণ্ঠের সুরেলা মাধুর্যে ও ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা অগণিত সুরোরসিকদের ভরিয়ে দেয়। আজ, ৮ই সেপ্টেম্বর ৮৭ বছরে পা দিলেন সেই মেলোডি কুইন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে মেলোডি, পপ হোক থেকে লোকসঙ্গীত সবেতেই হৃদয় ছুঁয়েছে তার সুরমূর্ছনা। কিংবদন্তি দিদি লতার থেকে ৪ বছরের ছোট এই আশা। ১৯৩৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের সঙ্গিল জেলার গৌড়ে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি সঙ্গীত মঞ্চের একজন অভিনেতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।


মাত্রা নয় বছর বয়সে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পরিবার পুনে থেকে কোহলাপুর ও পরে মুম্বইয়ে চলে আসে। এখনো তিনি প্রতিদিন রেওয়াজ করেন। তাঁর প্রতিদিনের সকাল হয় রেওয়াজ দিয়ে। রেওয়াজ তাঁর কোনও হোমটাস্ক নয়, বরং জীবনধারার অঙ্গ। রেওয়াজের কোনও বিকল্প নেই, কোনও শর্টকাট হয়না। ১৯৫৩ সালে পরিচালক বিমল রায় তাঁকে তাঁর ‘পরিণীতা’ সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। তারপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ও. পি. নয়্যার, খৈয়াম, রবি, শচীন দেববর্মণ, রাহুল দেব বর্মন, এ আর রহমান প্রভৃতি সুরকারের সাথে কাজ করেছেন।
[ আরো পড়ুন ] Salil Chowdhury: সুরকার সলিল চৌধুরী
দুবাইতে আশা ভোঁসলের আশা’জ নাম একটি রেস্তোরাঁ আছে। গানের জগতে ৬০ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন আশা ভোঁসলে এখনও গান রেকর্ড করেন। তবে সিনেমার জন্য তাঁর শেষ রেকর্ড এখনও পর্যন্ত ২০১৭ সালের সিনেমা বেগমজান-এ। ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে প্রথম গ্র্যামি নমিনেশন পাওয়া আশা ভোঁসলে। তিনি বিভিন্ন ভাষায় ১২০০-রও বেশি গান গেয়েছেন। ২০১১ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে সর্বাধিক প্লেব্যাক গানের গায়িকার শিরোপা দেয়। ২০০৮ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধিকে ভূষিত করে ভারত সরকার।
[ আরো পড়ুন ] অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়, অভিনয় করেছেন ৩০০ ছবিতে
মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন গণপত রাও ভোসলেকে। প্রথম বিয়ে সুখের হননি। বিচ্ছেদের পর ১৯৮০ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সুরকার, সংগীত পরিচালক রাহুল দেববর্মণকে। ঠিক ১৪ বছর সংসার করার পর রাহুলদেব মারা যান। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি ছেলের মৃত্যু দেখেছেন। আর দেখেছেন সব সময়ের সঙ্গী একমাত্র মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু। তিনি বলেন ‘আমি চাই মানুষ আমাকে মনে রাখুক সেই নারী হিসেবে, যে সৎ মন নিয়ে আপ্রাণ কাজ করেছে। যে কাজ থেকে কখনো পালিয়ে যায়নি।’