

কিংবদন্তি গায়ক ও সুরকার মান্না দের শতবর্ষের জন্মদিন ।
Singer Manna Dey’s 100th Birth Anniversary – ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।
প্রবোধ চন্দ্র দে, ডাক নাম মান্না দে|কিংবদন্তি গায়ক| জন্ম ১লা মে, ১৯১৯| তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীত শিল্পীদের একজন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাঁকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ সঙ্গীত বোদ্ধারা। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।


সঙ্গীত ভুবনে তার এ অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান “বঙ্গবিভূষণ” প্রদান করে।
বাবা – পূর্ণ চন্দ্র এবং মা – মহামায়া দে’র সন্তান মান্না দে, শুরুতে তিনি কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র অধীনে সহকারী হিসেবে এবং তারপর শচীন দেব বর্মণ-এর অধীনে কাজ করেন। পরবর্তীতে স্বাধীনভাবে নিজেই কাজ করতে শুরু করেন। ঐ সময় তিনি বিভিন্ন হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। ‘তামান্না’ (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে গায়ক হিসেবে মান্না দে‘র অভিষেক ঘটে। রবীন্দ্র সঙ্গীতসহ প্রায় ৩৫০০ গান গেয়েছেন এই মান্না দে।
মান্না দের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে বাংলাতে — কফি হাউজের সেই আড্ডা, সবাই তো সুখী হতে চায়, যদি কাগজে লিখ নাম, কতদিন দেখিনি তোমায়, এই কূলে আমি, কথা দাও, খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমি সারারাত, এ নদী এমন নদী, মাঝরাতে ঘুম, এই আছি বেশ, সে আমার ছোটবোন, দীপ ছিল শিখা ছিল, শাওন রাতে, আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে,তুমি আর ডেকো না এবং হিন্দিতে — ইয়ারি হে ইমান মেরা ইয়ার মেরি জিন্দেগি, না মাক্সগু সোনা চান্দি,পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া, লাগা চুনরি মে দাগ, এ মেরি জোহরা জাবিন, চুনরি সামহাল গোরি, এক চতুর নার কারকে সিঙ্গার, ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে, মুড় মুড় কে না দেখ প্রভৃতি সংগীতপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে। তিঁনি অমর হয়ে থাকবেন সংগীতের মূর্ছনায়| জন্মদিনে তোমাকে প্রণাম|