

Railway Isolation Coaches: ট্রেনে আইসোলেশন কোচ
দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে তারাও আইসোলেশন কোচ (Railway Isolation Coaches) বানিয়ে ফেলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল ২৮১ খানা যাত্রীবাহী কোচকে আইসোলেশন …
ভারতের গতিকে ত্বরান্বিত করে রেল। মারণ ভাইরাসের কারণে এই পরিষেবা থেমে গেছে। সংক্রামণের অন্যতম ধারক-বাহক হয়েছে ট্রেনের কামরা। পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল ও মালদহ ডিভিশনে রেলের শেডে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা বানাচ্ছেন এই সমস্ত কোচ। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে তারাও আইসোলেশন কোচ (Railway Isolation Coaches) বানিয়ে ফেলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল ২৮১ খানা যাত্রীবাহী কোচকে আইসোলেশন কোচের আকার দিয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ৩২৯টি কোচকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন কেবিনে রূপান্তরিত করছে যার মধ্যে খড়গপুর ডিভিশনই করছে সিংহভাগ ১৬০টি।


দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর রেল ওয়ার্কশপে এজন্য ১৬০টি বিশেষ কোচ তৈরি করা হচ্ছে। এক একটি কোচে আটজন করে রোগী থাকতে পারবেন। ইলেকট্রিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ৮৬টি কোচ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধু খড়্গপুর ওয়ার্কশপেই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছিতে ৮৯টি, হাতিয়ায় ৬০ ও টাটানগরে এরকম ২০টি কোচ তৈরি করা হচ্ছে। এই সব কোচ দেশের যেকোনও প্রান্তে যাবে।আগামীকাল অর্থাৎ ১১তারিখ কোচগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে গার্ডেনরিচ, দক্ষিণপূর্ব রেলের সদর দফতরে।
কেন্দ্রের ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ – আরও জানতে ক্লিক করুন …
একটি বগির অভ্যন্তরে থাকা ৭টি কোচের একেকটিকে রূপান্তরিত করা হচ্ছে একেকটি আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইন কেবিনে। আর এভাবেই ১৬০টি কেবিন তৈরি করা হবে প্রতিটি কেবিনে থাকছে একটি শয্যা। বিদ্যুৎ বাড়িয়ে ২৩০ করা হয়েছে যাতে প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার, ইত্যাদি মেশিন চালান যায়। এর সাথে থাকছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা ও মনিটর অপারেটের ব্যবস্থা। প্রতিটি জানলা মশা নিরোধক জাল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। একেকটি বগির চারটি টয়লেটের একটি শুধুই টয়লেট ও অন্য একটি বাথরুম করা হচ্ছে আর অন্যদুটিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে মেডিক্যাল স্টোর রুমে।