

মসজিদে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ – Entry of Muslim Women in Mosque Now in Supreme Court
কেন্দ্রের পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশন, ওয়াকফ কাউন্সিল এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস জারি করে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
ধর্মীয় ঘেরাটোপে লিঙ্গের বিভাজন|গণতন্ত্রের বিচ্যুতি|সবরীমালা মন্দির থেকে মসজিদ| মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশাধিকার এবং প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুনের দুই সাহসী আবেদনকারী। তাঁদের ব্যতিক্রমী আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয় আজ মঙ্গলবার। আর এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশন, ওয়াকফ কাউন্সিল এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস জারি করে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আসলে আবেদনটি করেছেন ইয়াসমিজ জুবের আহমেদ পিরজাদে এবং জুবের আহমেদ পিরজাদে। মহারাষ্ট্রের ওই দুই বাসিন্দার আবেদনের মূল বিষয় ছিল , মসজিদে লিঙ্গবৈষম্য থামানো। তাদের আবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদে মহিলাদের ঢুকতে না দেওয়া বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। কারণ এর ফলে দেশের অগণিত মহিলাদের সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।


সচেতনতার আলো জেগে উঠছে| নিজেদের দাবির সাপেক্ষে পিরজাদে দম্পতি, সুস্পষ্ট ভাবে কোরান এবং হাদিস দু’জায়গা থেকেই উদাহরণ দিয়েছেন। তারা মনে করেন, হজরত মহম্মদ কিংবা কোরানে কোথাওই বলা হয়নি মহিলারা মসজিদে ঢুকে প্রার্থনা করতে পারবেন না। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘পুরুষ ও মহিলার মধ্যে ফারাক করে না কোরান। শুধুমাত্র বিশ্বাস নিয়ে কথা বলে। কিন্তু ইসলাম এখন এ রকম একটি ধর্মে পরিণত হয়েছে যেখানে নারীদের দমিয়ে রাখা হয়।’
গত বছর সবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই রায়ে অনুপ্রাণিত হয়েই এবার আস্থা রাখছেন তাঁরা। এক মুসলমান দম্পতি সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটি করেছে। ভারতের মসজিদে মহিলাদের প্রবেশাধিকার না থাকা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫ ও ২৯ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে।
জানা যায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, দেশের ও বাইরের সকল ঋতুযোগ্য মহিলারও সবরীমালায় প্রবেশ করতে পারবেন। মন্দিরের ভিতরে প্রবেশের অধিকার সুস্পষ্ট হয়| আসলে সেই মন্দিরের অধিষ্ঠিত দেবতা আয়প্পার দর্শন এত দিন অধরা ছিল তাঁদের। ধর্মীয় ভণ্ডামি মনে করে, ঋতুযোগ্য মহিলাদের আয়াপ্পা দর্শন অপবিত্র। কিন্তু দেশটি যে ভারতবর্ষ| অশিক্ষার পীঠস্থানে তো ধর্মীয় অন্ধকার বেশি স্পষ্ট হয়ে দাঁড়াবে| সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও সে ভাবে দর্শনের সুযোগ পাননি দেশের সব বয়সের মহিলারা। প্রতিদিন বিক্ষোভকারী ভক্তদের সামনে প্রবল বাধার সামনে পড়তে হয়েছে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, গত ছয় মাসে মাত্র ২ জন মহিলা আয়াপ্পার দর্শন করেছেন। এরপর, মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ| সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চই, অন্য বার্তা দেবে|