

২০১০-এর মধ্যে ৩৩ লক্ষ কোটি ভারতীয় টাকা বিদেশের ব্যাংকে পাচার –
আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সরব প্রতিশ্রুতি শুনিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু বাকিটা অন্ধকারেই রয়ে গেছে।
কালোর পিছনে ছুটতে ছুটতে আলো দেখা মিললো। যদিও এই আলো,অন্ধকারকে দেখিয়ে দেওয়া। দেশের কালো টাকা নিয়ে সরগরম উঠেছে বহু বার। প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সরব প্রতিশ্রুতি শুনিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু বাকিটা অন্ধকারেই রয়ে গেছে। এর মধ্যেই একটি রিপোর্ট এসেছে, যেখানে ২০১০ পর্যন্ত যে কালো টাকার পাহাড় বিদেশের ব্যাংকে গড়ে উঠেছে তার হিসেব প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ফিন্যান্স, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকনমকি রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এই তথ্য তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১০-এর মধ্যে ভারতীয়রা প্রায় ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশের ব্যাংকে পাচার করেছে। তচ্ছারাও দেশের মধ্যে রিয়েল এস্টেট, মাইনিং, তামাক-গুটখা, ফিল্ম ও শিক্ষা জগতেও বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সম্প্রতি এই অভূতপূর্ব রিপোর্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি, লোকসভায় পেশ করে। কালো টাকার পরিমাণ জানতে ২০১১-য় এই তিনটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটাই প্রথম সামনে আসা রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ১৯৯৭ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে জাতীয় আয়ের ০.২% থেকে ৭.৪% অর্থ কালো টাকা হয়ে দেশের বাইরে চলে গিয়েছে। এবার একটা জোরালো আলো লাগবে, সেই কালো টাকার পাহাড়কে দেশে ফেরাবার জন্য।