

কেরলে প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধস — বিহারের বন্যায় মৃত ২১ জন
মুম্বাইয়ের ঝড় বৃষ্টির পর্ব মেটার আগেই কেরালায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ভূমিধসের (Kerala landslide) ঘটনা ঘটেছে কেরালার মুন্নারে …
নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিছুতেই থামছে না। পালা করে ছোট মাত্রার ভূমিকম্প, ঝড় ও বন্যা দেশের নানা প্রান্তে লেগেই আছে। করোনা আবহে এই পরিস্থিতি নতুন সমস্যা তৈরী করেছে। মুম্বাইয়ের ঝড় বৃষ্টির পর্ব মেটার আগেই কেরালায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ভূমিধসের (Kerala landslide) ঘটনা ঘটেছে কেরালার মুন্নারে। এই ভূমিধসে প্রচুর চা শ্রমিক আটকে পড়েছে। ধস নেমে আসে কেরালার সেই শহরে। জলের চাপে ভেসে যায় রাস্তা ও বাড়িঘর।


এদিকে বিহারের বন্যার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। নেপালের কিছু নদীর জল ঢুকছে বিহারের উত্তরভাগে। বিহারের ১৬টি জেলার মোট ১১৮৫টি পঞ্চায়েত এলাকা বন্যার জলে ডুবে আছে। এই বন্যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৯.০৩ লক্ষ লোক। বিহারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা মোট ২১ জন। একদিনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিন লাখ। আর ক্ষতিগ্রস্ত পঞ্চায়েতের সংখ্যা ১১৬৫ থেকে ১১৮৫ হয়েছে। মোট ৪.৮২ লক্ষ মানুষকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ১২,২৩৯ জন মোট ৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
[ আরও পড়ুন ] মুম্বাইতে ১০৭ কিমি বেগে ঝড় ও বৃষ্টি – কথা উদ্ধব ও মোদির
এদিকে কেরালায় আজ শুক্রবার সকালে ইদুক্কি জেলায় ধস হয়েছে। ভূমিধসের কারণে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে সেই এলাকা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে উদ্ধারকারী দল। অতিবৃষ্টিতে মাটি ধসের কারণে বহু রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশে হরপা বানে জল জমে রয়েছে অনেক এলাকাতে। সার্বিক পরিস্থিতি আরও জটিল অবস্থায় পৌঁছেছে। কন্নন দেবন এস্টেট ও তার সংলগ্ন এলাকায় চাপা পড়ে যায় কয়েকটি বাড়ি। সেখানে অন্তত ৮৩ জনের আটকে পড়ার সম্ভাবনা।
[ আরও পড়ুন ] পাঞ্জাবের তিন জেলায় বিষ মদে মৃত ৩২জন