

নেপালে বন্ধ করা হলো ভারতীয় সংবাদ চ্যানেল
এবার নিজেদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলের (Indian news channels) সম্প্রচার বন্ধ করল নেপাল। নেপালের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির …
নিজস্ব সংবাদদাতা: নেপাল প্রতিবেশী ভারতের সাথে ক্রমেই তিক্ততা বাড়াচ্ছে। ভারতের সীমানা নিয়ে একাধিকবার জট তৈরী করেছে। নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে চাইছে। যদিও এর পেছনে আছে ড্রাগনের প্রসস্থ হাত। এবার নিজেদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলের (Indian news channels) সম্প্রচার বন্ধ করল নেপাল। নেপালের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা সরব হন।
ভারতীয় মিডিয়ায় তাদের দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব চালানোর অভিযোগ আনেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের সকল সংবাদ চ্যানেল থামিয়ে দিলো নেপাল সরকার।


প্রতিবেশী ক্ষুদ্র দেশটি, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ভারতকে পাত্তাই দিচ্ছে না। বরং সংঘাতের পথে হাঁটছে চলেছে পরনির্ভরশীল নেপাল সরকার। উত্তরাখণ্ড থেকে বিহার সর্বত্র অবরোধের দেয়াল তৈরি করছে নেপাল। এবার বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়ে সকল ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। বিতর্কিত লিমপিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে ভারত ও নেপালের সম্পর্ক গত কয়েকদিনে তলানিতে ঠেকেছে। ধীরে ধীরে সীমান্তেও উত্তেজনা বাড়ছিল।
[ আরও পড়ুন ] পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান – ৩ জেনারেল ও ৬০ অফিসার বরখাস্ত
করোনা ভাইরাসের মাঝেই চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত চরমে পৌঁছায়। সম্প্রতি নেপালের মানচিত্রে ভারতের একাধিক জায়গাকে দেখানো হয়েছে। এরই মাঝে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির যুগ্ম চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহলের সঙ্গে দেখা করেন চীনের রাষ্ট্রদূত হোউ ইয়ানকি। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির ইস্তফা চান দলের যুগ্ম চেয়ারম্যান দহল। ফলে ঘোর রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে নেপালে। শাসক দলের ৪৪ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৩০ জন এই দহলের পাশে আসায় ওলি বিপাকে পড়েছেন।
[ আরও পড়ুন ] ইরানে মাটির নিচে বিশাল ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’
এই পরিস্থিতিতে ওলির গদি বাঁচাতে আসরে নেমেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তাকে উৎখাত করার জন্য ভারতে গোপন বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর ভয়ে পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন স্থগিত রেখেছেন এই প্রধানমন্ত্রী।