

Nirbhaya Hanging: ভোর রাতেই চারজনের ফাঁসি হলো
ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার কাকভোরে দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসি (Nirbhaya Hanging) দেওয়া হয় ৪ দোষী- পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং …
দীর্ঘ আইনের জটিল কাটিয়ে স্বস্তি পেলো নির্ভয়ার পরিবার। একটানা লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন নির্ভয়ার বাবা-মা। সাত বছর তিন মাস পর অবশেষে মিলল সুবিচার। দেরিতে হলেও সুবিচার পেয়ে খুশি হয়েছেন সন্তানহারা বাবা-মা। ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার কাকভোরে দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসি (Nirbhaya Hanging) দেওয়া হয় ৪ দোষী- পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর ও বিনয় শর্মাকে। আসামী পক্ষের আইনজীবীদের আর্জি খারিজ করে বিচারক খন্না জানিয়েছিলেন, এই ঘটনা ‘‘ভারতবাসীর সমবেত বিবেককে ধাক্কা দিয়েছে। তাই আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না।’’


এই প্রথম ভারতবর্ষের ইতিহাসে একসাথে চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হল। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে একই সময় বেছে নেওয়া হয়েছে ফাঁসির জন্য। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর ৩০ মিনিট দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিহারে এই প্রথম একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি হলো। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর শোনার পরই তিহারের বাইরে খুশির আনন্দে মাতেন উপস্থিত জনতা। নির্ভয়ার মা জানান, “আমি মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি। তবে সুবিচার দিতে পারলাম। এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। দেরিতে হলেও সুবিচার পেয়েছি। আইনে কিছু বদল আনার প্রয়োজন। আজকের দিন নির্ভয়ার। মেয়ের জন্য গর্বিত। ওর জন্য আমাকে সকলে আজ নির্ভয়ার মা বলে চেনেন। সকলের কাছে অনুরোধ অন্যায় দেখলে এগিয়ে আসুন। সমাজের প্রত্যেক মেয়ের জন্য লড়ে যাব।”
৬ মাসের রেশন মজুতের ঘোষণা কেন্দ্রের – আরও জানতে ক্লিক করুন …
২০১২সালের ১৬ই ডিসেম্বর, দক্ষিণ দিল্লির সাকেতের একটি সিনেমা হলে লাইফ অফ পাই মুভি দেখার পর রাত ৯টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে অটোয় চড়ে মুনিরকা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছায় মেয়েটি। একটি বেসরকারি বাসে উঠে দেখেন, বাসচালকের কেবিনে বসে আছে চার জন। আর কেবিনের পিছনে বসে আরও দু জন। একটি ফ্লাইওভারে বাসটি উঠতেই কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে তিনজন। তাদের মধ্যে দু জন নির্ভয়ার বন্ধুকে হেনস্থা করতে শুরু করে।নির্ভয়া তাঁর বন্ধুতে বাঁচাতে ছুটে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বাসের পেছনের আসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একে একে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করতে থাকে নির্ভয়াকে। এরপর খুন করে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় ৮ নং জাতীয় সড়কের উপর। সেই নৃশংস অধ্যায়ের ইতি ঘটলো আজ।