

Right Mask: মাস্ক প্রয়োজনীয় নয়, এর থেকে বাড়়ছে বিপদ
কয়েকদিন ধরে যথেষ্ট বেড়েছে মাস্কের (Right Mask) চাহিদা। কিন্তু এই মাস্ক পরলেই কি এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে? সকলকে কি মাস্ক ব্যবহার করার দরকার …
এই মহুর্তে গোটা বিশ্ব মারণ ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কয়েকদিন ধরে যথেষ্ট বেড়েছে মাস্কের (Right Mask) চাহিদা। কিন্তু এই মাস্ক পরলেই কি এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে? সকলকে কি মাস্ক ব্যবহার করার দরকার আছে ? সঠিক কি ধরণের মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ? মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী, বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্ত ও ভায়ারোলজিস্ট সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়রা সম্পূর্ণ একমত। তারা মনে করেন, এই ধরনের ভাইরাস কখনওই মাস্ক দিয়ে ঠেকানোর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া’স কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের ‘মেডিসিন’ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ এলি পেরেনচেভিচ বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি পাশের বাড়িতেও থাকে তাও আপনার মাস্ক ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। একজন সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি নয়, উচিতও নয়। মাস্ক যে তাদের নিরাপদ রাখবে এমন কোনো প্রমাণ নেই।”


মাস্কের চাহিদা বেড়েছে অনেকগুন। ওষুধের দোকানগুলিতে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ট্রেনে, স্টেশন চত্বর কিংবা ফুটপাথে এক ধরণের মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। সস্তায় সেই মাস্ক কেনার জন্য হিড়িকও লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু মানুষের মধ্যে। আদৌ সেই মাস্ক ব্যবহার কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে সেন্ট জর্জেসের ডঃ ডেভিড ক্যারিংটন জানান, “সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। বেশিরভাগ ভাইরাসই বায়ুবাহিত এবং এই মাস্কগুলো এতই ঢিলেঢালা থাকে যে এটা বায়ুকে ফিল্টার করতে পারেনা ঠিকঠাক। তাছাড়া যিনি এই মাস্ক ব্যবহার করছেন, তার চক্ষু থাকছে উন্মুক্ত। তবে হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। আর হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কিছু সুরক্ষা এটা দেয়।”
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাশিয়া, করোনার সাথে সুনামির আতঙ্ক – আরও জানতে ক্লিক করুন …
আসলে এন৯৫ মাস্ক একমাত্র তখনই প্রয়োজন, যদি কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন বা তাঁকে নাড়াঘাঁটা করেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করবেন, যাঁরা রোগীর এক মিটারেরও কম দূরত্বে দীর্ঘ ক্ষণ থাকবেন। তাছাড়া সার্জিক্যাল বা অন্য ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে কোনও কাজে দেয় না। তবে যাঁদের সর্দি-কাশি হচ্ছে, তাঁরা এই সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। সেটা নিজের জন্য নয়, অন্যের শরীরে রোগ না ছড়ানোর সচেতনতা থেকে। মাস্ক পরার পর মাঝেমধ্যেই তা ঠিক করতে তাতে হাত দিচ্ছেন সবাই। এতে হাতের জীবাণু মাস্কে যাচ্ছে। বরং ঘরের মধ্যে থেকে মানুষের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন।