

World Humanitarian Day: আজ বিশ্ব মানবতা দিবস
ইরাকে ২০০৩ সালে স্থানীয় কার্যালয়ে এক ভয়াবহ বোমা হামলার পর দিবসটি (World Humanitarian Day) পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
“এমন মানব জমিন রইলো পতিত,
আবাদ করলে ফলতো সোনা,
মনরে কৃষিকাজ জানো না ।” আজ বিশ্ব মানবতা দিবস। ইরাকে ২০০৩ সালে স্থানীয় কার্যালয়ে এক ভয়াবহ বোমা হামলার পর দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। হাজারো বিপদ উপেক্ষো করে ত্রাণকর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্র এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে শুধুমাত্র মানবতার খাতিরে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচায়। বিপর্যয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় মানবতাকে সবার উপরে স্থান দেওয়ার বিষয়টিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ১৯শে আগস্ট আন্তর্জাতিক মানবতা দিবস বা World Humanitarian Day দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এই দিনটি পৃথিবীর সেই সব মানুষের কথা মাথায় রেখে যাঁরা চরম আত্মত্যাগ করেও মানুষের সেবায়, তাঁদের উন্নতি সাধনে নিজেদের জীবন উত্সর্গ করেছেন। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে আরও একুশ জন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাগদাদে গিয়েছিলেন সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁদের। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রায় তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সেই সব মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন যাঁরা যুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়েছেন।
ফ্রান্স, সুইত্জারল্যান্ড, জাপান এবং ব্রাজিলের মতো সদস্য দেশের সহায়তায় এই দিনটিকে বিশ্ব মানবিকতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কমবেশি ১৩ কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এই সাহায্য প্রার্থী মানুষদের এক সঙ্গে দলবদ্ধ করা হলে পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ গঠিত হবে। যুদ্ধ, দুর্যোগ এবং তীব্র অরক্ষিত অবস্থার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের জীবন রুপান্তর করতে প্রতিশ্র্রুতিবদ্ধ। মানুষ মানুষের হাত ধরবে — পাশে থাকবে।