

আজ ২৯শে জুলাই, বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবস
তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই।
শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, লেখক ও জনহিতৈষী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Ishwar Chandra Vidyasagar) আজ প্রয়াণ দিবস| ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই তিনি মারা যান।উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার| সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় [Barnaparichay]সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ।


ঈশ্বরচন্দ্র ২১ বছর বয়সে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে প্রধান পন্ডিত হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৫০ সালে তিনি সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরের বছর অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। কলেজে অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব পালন করার সময় ১৮৫৫ সালে সরকার তাঁকে হুগলি, বর্ধমান, মেদেনীপুর ও নদীয়া জেলার বিশেষ স্কুল পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব অপর্ণ করেন।১৮৭৭ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ইম্পেরিয়াল অ্যাসেমব্লিজ-এ সম্মাননা-সনদ লাভ করেন এবং ১৮৮০ সালের জানুয়ারিতে সি.আই.ই হন।
বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনই তাঁর কাছ থেকে ফিরে যেত না। নিজের চরম অর্থসংকটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তাঁর পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। আজ এই সার্বিক সংকটের সময় তাঁকে বিনম্র প্রণাম জানাই|