

অকারণে ভয় না পেয়ে সতর্ক হন খাবার খেলে কেন হয় অ্যালার্জি ?
Know The Reason of Food Allergy অ্যান্টিজেন শরীরে প্রবেশ করলে ইমিউনোলজিক্যাল ফাইট বাঁধে। তখন অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন আসবেই।
চেনা এক আতঙ্কের নাম অ্যালার্জি! চিংড়ি, বেগুন বা ডিম মানেই চুলকানি শুরু। ডিম খেলেই গায়ে আমবাত আর বেগুনেঅস্বস্তির চুলকানি ! বিশেষ বিশেষ খাবারে অ্যালার্জির কষ্ট অনেকের মুখেই শোনা যায়। আর তাই খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ যায় বেশ কিছু পছন্দের খাবার। তবে সঠিকভাবে না চিনে খাবারটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া এককথায় বোকামো। তাই খাবারে অ্যালার্জি হচ্ছে এই অনুমানের সঠিক প্রমাণ মিললে তবেই অ্যালার্জি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি, কেন এই বিশেষ কিছু খাবারই অ্যালার্জির কারন।
আসলে খাবার থেকে ক্রনিক অ্যালার্জির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তাই লক্ষণ বুঝে কোন কোন খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে তা প্রথমেই বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরীক্ষা করা উচিত।
রোগীর বিশেষ কিছু লক্ষণ ক্রনিক অ্যালার্জি নির্দিষ্ট করে—-
১. ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা যদি হঠাৎ করে বেড়ে গিয়ে খুব চুলকাতে থাকে।
২. হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ও ক্রমাগত হাঁচি, কাশি, সর্দি হতে পারে।
৩. রোগীর পেটে ব্যথা বা বারবার মলের সমস্যা হতে থাকে।
দেখা যাচ্ছে চিংড়ি, ডিম, কাঁকড়া অথবা দুধ ইত্যাদি খাবার থেকেই অ্যালার্জি হচ্ছে। শরীরে এই খাবারগুলি থেকে অ্যালার্জির দু’টি কারণে হতে পারে। এইধরনের খাবারে যে ধরনের প্রোটিন থাকে তা শরীরে অ্যালার্জির জন্ম দেয় সহজে। আবার প্রোটিন জাতীয় খাবারের মাধ্যমেই শরীরে অ্যান্টিজেন প্রবেশ করে। যা শরীরে খুব সহজেই অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি রিঅ্যাকশন তৈরি করে।
এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ফলে অ্যান্টিজেন শরীরে গেলেও তা থেকে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাঁদের শরীরে ইমিউনিটি খুব দুর্বল তাঁদের এই অ্যান্টিজেন-অ্যান্টিবডি রিঅ্যাকশন ঠিকমতো হয় না। কারণ এই ধরনের অ্যান্টিজেন শরীরে প্রবেশ করলে ইমিউনোলজিক্যাল ফাইট বাঁধে। তখন অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন আসবেই। ফলে শ্বাসকষ্ট, গায়ের র্যাশ, চুলকানি, গায়ে আমবাতের মতো সমস্যা, প্রচণ্ড হাঁচি-কাশি ইত্যাদি দেখা দেয়।
প্রতিরোধের উপায় —-
১. প্রথমে একটা তালিকা করুন। যে সকল খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে মনে হচ্ছে সেই খাবারগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে।
২. তারপর প্রত্যেকটি খাবারই একদিনে রোগীকে খাইয়ে দেখতে হবে তিনদিনের মধ্যে কোনও অ্যালার্জি বের হচ্ছে কি না। সেক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে, খাদ্যতালিকায় থাকা ডিম, বেগুন, চিংড়ি মাছ ইত্যাদি খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে তবে এই খাবারগুলি একসপ্তাহ খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বাদ রাখতে হবে।
৩. মন শক্ত করে বাদ রাখলে তাতে অ্যালার্জির সমস্যা একেবারে চলে যাওয়াই স্বাভাবিক।
৪. যদি অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় তবে চিংড়ি খাওয়া আবার বন্ধ করতে হবে। তারপর পুনরায় ১-২ সপ্তাহ বাদে আবার চিংড়ি খেয়ে দেখতে হবে আবার অ্যালার্জি হচ্ছে কি না। তখনও যদি অ্যালার্জি দেখা যায় তবে আবার ১-২ সপ্তাহ পর তৃতীয়বার চিংড়ি খেয়ে টেস্ট করে হবে।
৫. যদি তিনবারই অ্যালার্জির লক্ষণ থাকে তবে নিশ্চিত হতে হবে যে সেই নির্দিষ্ট খাবারে অর্থাৎ চিংড়িতে অ্যালার্জি আছে। আর তিনবারই অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন না হলে সেই খাবার নিরাপদ তা বলাই যায়।