

২০৬৮ সালে এক গ্রহাণু মুছে দিতে পারে পৃথিবীর অস্তিত্ব
সত্যি সত্যিই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে বিশালাকার গ্রহাণু। অ্যাপোফিজ 99942 (Asteroid Apophis) । এটি আদতে এক মিশরীয় …
নিজস্ব সংবাদদাতা: অজানা গ্রহাণুর অস্তিত্বের খবর নতুন কিছু নয়। এগুলি একেবারেই কোনও কল্পবিজ্ঞান কাহিনি নয়। সত্যি সত্যিই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে বিশালাকার গ্রহাণু। অ্যাপোফিজ 99942 (Asteroid Apophis) । এটি আদতে এক মিশরীয় দেবতা। পুরান জানাচ্ছে, তিনি জন্ম দিয়েছিলেন ক্যাওস বা মহাজাগতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে। আকারে ও রূপে বিশাল এই মিশরীয় দেবতা। নাসা জানিয়েছে, এই জাতীয় গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে সূর্যের আলোর দ্বারা আকর্ষিত হয়ে।


আসলে সূর্যের আলোর এক নিজস্ব গতিবেগ আছে। আর একে সৌরজগতের অন্য বাসিন্দারা গুরুত্ব দিয়ে অনুভব করে। এই বিস্ময়ের টানের সূত্রকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ইয়ারকোভস্কি অ্যাক্লেরেশন। সেই টানেই অ্যাপোফিজ নতুন করে ক্যাওস বা মহাজাগতিক বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে প্রস্তুত। এটি এইমুহূর্তে আছে পৃথিবীর খুব কাছে। নাসা জানাচ্ছে, জাতিগত দিক থেকে সে নিয়ার আর্থ অ্যাস্টেরয়েড।
[ আরও পড়ুন ] OSIRIS-REx: গ্রহাণু ছুঁয়ে নুড়ি সংগ্রহ করবে মহাকাশযান
আর সেই কারণেই আগামীতে পৃথিবীর বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অ্যাপোফিস নামের একটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে আমাদের নীল গ্রহের। আর তার ফলে ধ্বংস হতেই পারে গোটা পৃথিবীতে সাজানো সভ্যতা! সেই ২০০৪ সালে প্রথমবার নাসা ওই গ্রহাণুটিকে দেখতে পায়। গত ১৩ বছর ধরে তার উপরে লক্ষ রেখে চলেছে নাসার বিজ্ঞানীরা। অবশেষে তার গতিপ্রকৃতির উপরে এই দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ শেষে তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে , এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ অনিবার্য। অ্যাপোফিজ ৯৯৯৪২ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে ২০২৯ সালে। তবে আসল বিপর্যয় আসবে ২০৬৮ সালে। এই গ্রহাণুর পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়, তবে পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।