

আকাশে উজ্জ্বল উল্কাবৃষ্টি – রবি ও সোমবারের মাঝরাত অচেনা
এই উল্কাবৃষ্টির নাম ‘জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার’ (Geminid meteor shower 2020)। দেখা যাবে আকাশের পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব অংশে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: উল্কা মানেই মহাকাশের এক বিস্ময়ের আলো। রাতের আকাশকে অচেনা করে তোলে। আর উল্কা বৃষ্টির জন্য বিশ্বের অগণিত মানুষ অপেক্ষা করে থাকে। সেই বিরল অথচ অকল্পনীয় দৃশ্যের কোনো বিকল্প হয় না। এবার রাতের আকাশে ঘণ্টায় অন্তত ৬০টি উল্কার দেখা মিলবে। সেই অসম্ভব নান্দনিক উল্কাবৃষ্টি শুরু হবে রবি ও সোমবার মধ্যরাতের পরে। এটি চলবে পরের দিনের ভোরবেলা পর্যন্ত। তবে আকর্ষণীয় এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে আকাশের পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব অংশে। এই উল্কাবৃষ্টির নাম ‘জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার’ (Geminid meteor shower 2020)।
বছরে যেসব উল্কাবৃষ্টি হয়, তার মধ্যে এটি অনেক উজ্জ্বল। তবে জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার প্রত্যেক বছর এই ডিসেম্বরে হয়। বছরের অন্যান্য সময় অন্য ধরনের উল্কাবৃষ্টি হয়। যদিও পৃথিবীতে সবচেয়ে উজ্জ্বল এই জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার।


শীতের রাতে আকাশ হয়ে উঠবে অন্য আলোর জগৎ ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকেই এই উল্কাবৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর গোলার্ধে। এই নৈসর্গিক ‘বৃষ্টিপাত’ সবচেয়ে বেশি হবে আগামী ১৩ই ও ১৪ই ডিসেম্বর। উত্তর গোলার্ধে দেখা যাবে রাত ২টোর পর থেকে পরদিন ভোরবেলা পর্যন্ত। আর দক্ষিণ গোলার্ধে দৃশ্যমান হবে মধ্যরাতের পর। রাত বাড়ার সাথে সাথে এর দৃশ্যমানতা বাড়বে।
[ আরও পড়ুন ] পৃথিবীর সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডের খোঁজ মিলেছে
তবে মেঘ, কুয়াশা একটু সমস্যা ফেলতে পারে। এছাড়া রাতের আলোর জন্য কলকাতা বা শহরগুলিতে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এই উল্কা ঘণ্টায় ৭৮ হাজার মাইল বা সেকেন্ডে ৩৫ কিলোমিটার বেগে ছুটবে। চিতাবাঘ সর্বাধিক যে গতিবেগে ছুটতে পারে তার ১ হাজার গুণ বেশি এর গতি। পৃথিবীর দ্রুততম গাড়ির গতিবেগের চেয়ে ২৫০ গুণ জোরে।
[ আরও পড়ুন ] ২০৬৮ সালে এক গ্রহাণু মুছে দিতে পারে পৃথিবীর অস্তিত্ব
সাধারণত ঘণ্টায় ৬০টি করে দেখা যায় জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে দেখা যাবে একটি করে। দক্ষিণ গোলার্ধে এই পরিমাণে দেখা যায় না । উত্তর গোলার্ধে দেখা যায় ২৫ শতাংশ বেশি পরিমাণে। ‘পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার’-এর অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান , ‘‘এবার এই উল্কাবৃষ্টির উজ্জ্বলতা অনেকটা বাড়বে। তবে রাতের আকাশে প্রচুর আলো থাকায় কলকাতার থেকে এই উল্কাবৃষ্টি দেখতে পাওয়া যাবে কি না বলতে পারছি না।’’ কলকাতার আকাশে সাধারণত জেমিনি নক্ষত্রপুঞ্জটিকে সন্ধ্যা ৭টা থেকে দেখা যায়। আকাশের কিছুটা উত্তর-পূর্ব দিকে এর অবস্থান। তাই এই উল্কাবৃষ্টিকে ‘জেমিনিড’ বলা হয়। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মনে করেন, এটি একটি গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড।