

পৃথিবীর সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডের খোঁজ মিলেছে
প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমন্তরাল বিশ্ব (NASA Found Parallel Universe) নিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেছে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড …
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহাবিশ্বের সমান্তরাল আরও একটি মহাবিশ্ব আছে। সেখানে সময় চলছে উল্টো স্রোতে। আসলে সেখানকার সময় অতীতের দিকে ছুটে চলছে। তবে এটা কোনও সায়েন্স ফিকশন, সিনেমা বা টেলিভিশন সিরিয়াল নয়। প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমন্তরাল বিশ্ব (NASA Found Parallel Universe) নিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেছে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা NASA-র একদল বিজ্ঞানী। নাসার আন্টার্কটিক ইম্পালসিভ ট্রানসিয়েন্ট অ্যান্টেনা নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকার উপরে মোস একটা বেলুন রেখেছিলেন। এই যন্ত্রটি আল্ট্রা–হাই এনার্জির কসমিক–রে নিউট্রিনো খুঁজতে সক্ষম।


নিউট্রিনোর এই উচ্চ শক্তিশালী কণাগুলি পৃথিবীর থেকে অনেক গুণ বেশি ক্ষমতাশালী। শীতল মহাদেশের অত্যধিক ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস ও রেডিও তরঙ্গ প্রায় শূন্য জায়গাতে সেই বেলুন রাখা হয়। কারণ রেডিও তরঙ্গে মহাকাশ থেকে আসা সূক্ষ্ম শব্দ নষ্ট হয়ে যায়। কম ক্ষমতাসম্পন্ন নিউট্রিনো পৃথিবীর ভিতর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতাশালী নিউট্রিনো পৃথিবীর শক্ত পদার্থে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। তাই এই উচ্চ শক্তিশালী কণাগুলি, মহাকাশ থেকে নেমে আসার সময় খুঁজে পাওয়া যায়।
[ আরও পড়ুন ] ২০৬৮ সালে এক গ্রহাণু মুছে দিতে পারে পৃথিবীর অস্তিত্ব
গত ২০১৬ সালে বিজ্ঞানীরা, টাউ নিউট্রিনো বা অত্যন্ত ভারী একটি কণা পৃথিবীর বাইরে, উপর থেকে নেমে আসতে দেখেন। যা নিয়ে পরীক্ষার পর ধারণা জন্মে, ওই কণা অন্য কোনও সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ডের প্রমাণ। তবে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ঝর্ণার মত বেরিয়ে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণার খোঁজ মেলে। কিন্তু বরফ থেকে নিঃসরিত ওই কণাকে তখন প্যারালাল মহাবিশ্বের প্রমাণ হিসেবে মেনে নেননি বিজ্ঞানীরা। ‘ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ’-এর জন্য বিষয়টিকে বাতিল করে দেওয়া হয়। বিগ ব্যাং যখন হয়েছিল তখন দুটি ব্রহ্মাণ্ড তৈরি হয়েছিল। একটা ব্রহ্মাণ্ডের গতিবিধি অন্যের থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিপরীত।