

মঙ্গলের পথে নাসার মঙ্গলযান ‘পারসিভিয়ারেন্স’
মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছে নাসার মঙ্গলযান ‘পারসিভিয়ারেন্স ’ (NASA Mars Mission)। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টে ২০ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে রওনা…
নিজস্ব সংবাদদাতা: আবার মঙ্গল যাত্রা। প্রতিবেশী লাল গ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতেই এই মহাকাশযান যাচ্ছে। তৈরি হবে এক বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছে নাসার মঙ্গলযান ‘পারসিভিয়ারেন্স ’ (NASA Mars Mission)। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টে ২০ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে রওনা দিয়েছে ছ’চাকা বিশিষ্ট এক টন ওজনের এই আধুনিক যান। এটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। মঙ্গল অভিযানের জন্য এত উন্নত প্রযুক্তি এর আগে ব্যবহার হয় নি।


মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানু্ষের মধ্যে। কন্সপিরেসি থিয়োরিস্টরা জানাচ্ছেন, সেখানে প্রাণ ও জল আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও প্রমাণ পাননি। কিন্তু বিজ্ঞান মানছেন, পৃথিবীর কাছাকাছি পরিমণ্ডলের কোনও গ্রহ যদি এই সৌরমণ্ডলে থেকে থাকে, তাহলে সেটা মঙ্গল। ফলে সেখানে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য বেড়ে যায়। কুড়ি সালে নাসার সবচেয়ে বড় মহাকাশ-মিশন ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এতে ২৩ টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা মাইক্রোফোন, প্রচুর ছোট যন্ত্র আছে।
[ আরও পড়ুন ] সাগরপৃষ্ঠের ৬০ ফুট নিচে গবেষণাকেন্দ্র – অজানা তথ্য
পারসিভিয়ারেন্স রোভার বানিয়েছে নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি। মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে নমুনা জোগাড় করে আনার জন্য আছে ৪৩টি টিউব। মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে কোনও নমুনা সংগ্রহ করবে। নিজেই প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পাঠাবে নাসাকে। প্রাণের অনুকুল আবহাওয়া মঙ্গলে থাকা সম্ভব। তাই নাসার এই যানের মূল লক্ষ্যই থাকবে মঙ্গলে প্রাণের বা প্রাণের অনুকুল কোনও চিহ্ন বা আবহাওয়ার সন্ধান করা। আসলে এই মিশনে মোট ৩টি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি হলো জেজেরো ক্রেটার, এন ই সারটিস এবং কলম্বিয়া হিলস।
[ আরও পড়ুন ] মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া জানতে আরবের প্রথম মঙ্গলযান