

PK Banerjee: না ফেরার দেশে ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতীয় ফুটবলের একটা অধ্যায়ের অবসান হলো। পরলোকে বাংলার কিংবদন্তি পদ্মশ্রী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় (PK Banerjee)। দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ শুক্রবার …
ভারতীয় ফুটবলের একটা অধ্যায়ের অবসান হলো। পরলোকে বাংলার কিংবদন্তি পদ্মশ্রী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় (PK Banerjee)। দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ শুক্রবার পুর ১২.৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। সোমবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে রাখা হয়েছিল অতি সতর্কতার ভেন্টিলেশনে। নিউমোনিয়া, পারকিনসন-সহ একাধিক রোগ থাবা বসিয়েছিল তার শরীরে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন বাইপাসের ধারের এক হাসপাতালে। ভারতের জার্সি গায়ে ৪৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন পিকে। তাঁর বুট থেকে এসেছিল ১৪টি গোল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে।


জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। তা সত্ত্বেও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার সমাধান হয় নি। উল্টে তার শিরিরে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওয়ের দিকে পৌঁছায় কিংবদন্তি প্রাক্তন ফুটবলার। আজ একেবারেই হার মানতে হয়। দুঃসংবাদ পেয়েই বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রিয় দাদাকে হারিয়ে বেদনা কাতর ভাই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই হুইলচেয়ার তাঁর সঙ্গী ছিল। বাইরের অনুষ্ঠানে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। মাঝে হাসপাতালে ভর্তি হলেও ফিরেছিলেন বাড়িতে।
রোনাল্ডিনহোকে জেল থেকে ছাড়াতে মেসি দিলেন ৩৩ কোটি – আরও জানতে ক্লিক করুন …
১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্ম প্রদীপবাবুর। ছোট থেকেই ফুটবল ছিল ধ্যানজ্ঞান। একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বল না পেলে ছোবড়া সমেত নারকেল নিয়েই দু’পায়ে নাচাতেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছিলেন পিকে। তারপর বাবার চাকরি সূত্রে গোটা পরিবার চলে আসে কলকাতায়। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহামেডানের মতো বড় ক্লাবে খেলেননি কখনও। তবু এরিয়ানস, ইস্টার্ন রেলের মতো ক্লাব থেকে ভারতীয় ফুটবলের নক্ষত্র হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬১ সালে অর্জুন এবং ১৯৯৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান পিকে। খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়েও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিলেন প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার “ভোকাল টনিক” ময়দান কখনও ভুলবে না। তাকে প্রণাম জানাই।