

Swimming Coach Molestation Case: কড়া শাস্তি
নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির (Swimming Coach Molestation Case) অভিযোগ উঠেছে। সেই সঠিক অভিযোগ আসার পরে জিএসএ তাঁকে ছাঁটাই করল।
বাংলার ক্রিয়াজগতের এক কলঙ্কদায়ক অধ্যায় (Swimming Coach Molestation Case)। গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত বাংলার সাঁতার কোচ সুরজিত গঙ্গোপাধ্য়ায়। গতকাল বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। সেই সঠিক অভিযোগ আসার পরে জিএসএ তাঁকে ছাঁটাই করল। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এই নোংরা মানসিকতার কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল তাঁরই বছর পনেরোর ছাত্রী।


সেই সাহসী কিশোরী সাঁতারু অভিযোগ, শেষ ছ’মাস ধরেই সুরজিত তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে। শেষে উপায় না দেখে ওই ছাত্রী তাঁর লুকিয়ে রাখা মোবাইলে কোচের যৌন হেনস্থার ভিডিও তুলে তা প্রকাশ্য়ে এনেছে।
যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ বাংলার এক সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছে এক কিশোরী সাঁতারু। সে জানায় , গত ছ’মাস ধরে বাংলার ওই নামী কোচ তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলার ক্রীড়া মহল।ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ায়। হোটেলের ঘরের একটি গোপন জায়গায় মোবাইল রেখে রেকর্ডার চালু করে দিয়েছিল ওই সাঁতারু। এরপর ঘরে ওই কোচকে ঢুকতে দেখা যায়। সাঁতারুর পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ছিল। কোচ প্রথমে চোটের জায়গাটি দেখেন। তার পরই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর কোচ বেরিয়ে যান।
আজ, বৃহস্পতিবার একাধিক কড়া টুইট করে রিজিজু জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাংলার কোচ যেন কোথাও চাকরি না পান। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি কড়া পদক্ষেপ করেছি। গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন ওই কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। সুইমিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছি, সুরজিৎ যেন দেশের কোথাও চাকরি না পায়। সমস্ত ফেডারেশন এবং সর্ব ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ওর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমত, এটা ঘৃণ্য অপরাধ। তাই কোচের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আমি দাবি করেছি।’’গোয়া সাঁতার সংস্থার সচিব আব্দুল মজিদ আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের কোচের সঙ্গে কাজ করতে চাই না। ওকে আমরা বরখাস্ত করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো দেখার পরেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই।’’