

চীন সরকারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে উইঘুর ও মুসলিম
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়েছে একাধিক উইঘুর নেতৃত্ব (Chinese and Uyghur conflict) । এদের মধ্যে একজন …
নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার দেশের ভিতরেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলার সম্ভাবনা তৈরী হলো। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চীন সরকার যারপরনাই অত্যাচার চালায়। চিনে এখন তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়েছে একাধিক উইঘুর নেতৃত্ব (Chinese and Uyghur conflict) । এদের মধ্যে একজন নেতা জানান, বিশ্বের প্রত্যেক উইঘুর মুক্তিযোদ্ধা ও আমাদের জনগণকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা থামবো না। জানা যাচ্ছে, পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা দিবস স্মরণে বিক্ষোভ চলাকালীন তিনি আরও জানান, আমাদের জনগণকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা থামবো না। আমরা পিছনে সরে যাবো না। আমাদের অধিকার আছে।


চীনের একাধিক পদক্ষেপের সমালোচনা শুরু হয় গোটা বিশ্ব জুড়ে। করোনা মহামারী পরিস্থিতির জন্য অনেক আগেই এই চীনকে কাঠগড়ায় তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। কিন্তু এবার এই সংখ্যালঘু অত্যাচারের অভিযোগকে হাতিয়ার করে সেই আগুনে ঘি ঢাললো মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকা মনে করছে, চীন দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি, চীন যে আচরণ করছে, তা গণহত্যারই সমান। চীন সংখ্যালঘু উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে।
[ আরও পড়ুন ] জার্মানিতে ইমাম প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা – ইসলাম কনফারেন্স
পূর্ব তুর্কিস্তানে এক কোটির বেশি উইঘুর মুসলিম বসবাস করে। জিনজিয়াং মোট জনসখ্যার ৪৫ শতাংশই ওই উইঘুর। তাদের অভিযোগ জানাচ্ছে, সংস্কৃতি, ধর্ম ও অর্থনৈতিকভাবে তাদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে চীন সরকার। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জিনজিয়াংয়ে মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় সাত শতাংশ এখন চীন সরকারের বন্দি শিবিরে আছে। গত ছয় বছরে পূর্ব তুর্কিস্তানের ১০ লাখের বেশি মানুষকে, বিশেষ করে মুসলিমদের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। তাই এবার চিনে, প্রতিবাদে গর্জে উঠছে উইঘুর ও মুসলিম সম্প্রদায়।