

DR Congo Measles: কঙ্গোতে মহামারী রূপে হাম – মৃত ৫০০০
এই বছর দেশটিতে (DR Congo Measles) হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কঙ্গো প্রজাতন্ত্র আফ্রিকা মহাদেশের একটি রাষ্ট্র।
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো। এখানে মহামারি আকার ধারণ করেছে ভাইরাসজনিত রোগ হাম। এই বছর দেশটিতে (DR Congo Measles) হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কঙ্গো প্রজাতন্ত্র আফ্রিকা মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। পশ্চিমে গ্যাবন ও আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তর পশ্চিমে ক্যামেরুন, উত্তর পশ্চিমে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পুর্ব এবং দক্ষিণে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং দক্ষিণ পশ্চিমে অ্যাঙ্গোলা অবস্থিত। কঙ্গোতে হু হু করে এই মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি নাকি বিশ্বে সর্বাধিক গতিতে ছড়িয়ে পড়া মহামারী।
ওই অঞ্চলে এক সময় মারণ রোগের আকার নিয়েছিল ইবোলা। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই রোগে। গত ১৫ মাসে ইবোলা আক্রান্তে মৃতের দ্বিগুণ মৃত্যু হয়েছে এই মিজেলস বা হাম-এ। গত সেপ্টেম্বরে কঙ্গোর সরকার এই রোগের প্রতিষেধক দিতে শুরু করেছে। অন্তত আট লাখ শিশুকে এই প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল অত্যন্ত খারাপ। ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রতিষেধকও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটুকু যথেষ্ট নয়।
হাম হলো ভাইরাসজনিত একটি রোগ। জার্মান মিজলস নামেও পরিচিত এই রোগ। এই রোগের ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে রোগী নানা জটিলতায় পড়তে পারে। তবে হাম সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয় বলে এক বছর থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের হামের ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। হাম হলে প্রথমে জ্বর হয় ও হাত-পা হালকা ব্যথা হয়। প্রথম এক-দুই দিন তীব্র জ্বরও হতে পারে। চোখ-মুখ ফুলে উঠতে পারে। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে, চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। হাঁচিও হতে পারে। শরীরে র্যাশ দেখা দেয় এবং দ্রুতই তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বিগত ১৫ মাসে ইবোলার তুলনায় দ্বিগুণের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।