

আমেরিকা ও রাশিয়ার অস্ত্রে সাজছে ভারতের সেনাবাহিনী – Indian Army Purchasing Weapons From Russia and U.S. Only
সুবিশাল স্থলসেনার শক্তিবৃদ্ধি করতে এবার আমেরিকার থেকে অত্যাধুনিক অ্যাটল্ট রাইফেল কিনছে ভারত
শান্তি কামনা করাই একটা মানুষের ও একটা দেশের প্রধান লক্ষ্য হয় উচিত| কিন্তু যুগের আধুনিকতার প্রারম্ভ কাল থেকেই দেখা গেছে, শান্তির ডানায় পাশেই ঘুরে বেড়ায় হিংসার বাতাস| তাই সব শক্তিশালী দেশকেই শান্তির বার্তা বিলানোর আগে, সেনাবাহিনীর ভান্ডারকে খুব সমৃদ্ধ করতে হবে| এক ঝটকায় যেন বোমারু বিমান এসে, দেশের নিরাপত্তার আচ্ছাদনকে দুরমুশ করে দিতে না পারে| আর সেই সূত্র মেনে, ভারত নীরবে তৈরী হচ্ছে| অস্ত্রভাণ্ডারকে মজবুত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ|


মহাভারতের আমলের পদাতিক বাহিনী থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের ‘ইনফ্যান্ট্রি’, যেকোনও সুশিক্ষিত ফৌজের মেরুদণ্ড হলো তাদের স্থলসেনা। ফলে রণকৌশলে প্রতিপক্ষের উপর ধার বজায় রাখতে আরও আধুনিক ও শানিত হচ্ছে ভারতীয় স্থলসেনা। আর সেজন্যই ইনসাসের বিকল্প হিসেবে অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার সিদ্ধান্ত। জল্পনা সত্যি হলো, এবার সরকারিভাবে সিলমোহর পড়ে গেল। সুবিশাল স্থলসেনার শক্তিবৃদ্ধি করতে এবার আমেরিকার থেকে অত্যাধুনিক অ্যাটল্ট রাইফেল কিনছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেল। জানা গেছে, আনুমানিক ৭০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৭২,৪০০ টি অ্যাসল্ট রাইফেল কিনছে ভারত।


আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক শক্তিশালী দেশ এই অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়েই নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার মজবুত করেছে। বিখ্যাত মার্কিন সংস্থা Sig Sauer-এর থেকে এক বছরের মধ্য়ে ৭২,৪০০ টি ৭.৬২ মিলিমিটার ক্য়ালিবারের রাইফেল পাবে ভারত। বর্তমান দেশে নির্মিত ৫.৫৬x৪৫ মিলিমিটার ক্য়ালিবারের শক্তিশালী ইনসাস রাইফেল ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। কিন্তু, লাগাতার গুলি চালাতে গেলে প্রায়ই জ্যাম হয়ে যায় এই রাইফেলগুলি। তাই সেনা ভাণ্ডারকে অত্য়াধুনিক করার লক্ষ্য়ে দ্রুত ইনসাস রাইফেল পালটে ফেলতে চাইছিল সেনাবাহিনী। এই মুহূর্তে বায়ুসেনা, নৌসেনা ও স্থলসেনা মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ ১৬ হাজার হাজার অ্যাসল্ট রাইফেলের প্রয়োজন। সেনা সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে চিন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরাই এই অ্যাসল্ট রাইফেল ব্য়বহার করবেন।
এখানেই শেষ নয়| স্থলসেনাকে সাহায্য করে দক্ষ বায়ুসেনা| সেটিকে আরও উর্বর করতে রাশিয়ার থেকে ২১টি MiG-29 যুদ্ধবিমান অধিগ্রহণ করার কথা ভাবছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ফাইটার স্কোয়াড্রনের সংখ্যা কমে যাওয়া ও রাফাল চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ চড়ে যাওয়ার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।


এখনও পর্যন্ত বায়ুসেনা তাদের ৬২টি MiG-29 ফাইটার জেটের মধ্যে অর্ধেককে আপগ্রেড করেছে। ২০০৮ সালে রাসিয়ার সঙ্গে ৩,৮৪২ কোটি টাকার চুক্তি অনুযায়ী সেই কাজ এগিয়েছে। MiG-29-এর কার্যকারিতার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। আগে এটি ছিল ২৫ বছর (২,৫০০ উড়ান ঘণ্টা)। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ বছর (৩,৫০০ ঘণ্টা)।ভারত যে নতুন উন্নতমানের ২১ MiG-29 অধিগ্রহণের কথা ভাবছে, রাশিয়া তার জন্য ভালো দামও অফার করেছে বলে জানা গিয়েছে। আশা করা যায়, প্রতিবেশী দেশের হুঙ্কার থামাতে, এই পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে|