

যৌথ সামরিক মহড়ায় জাপান-আমেরিকা-ফ্রান্স
আগামী বছর মে মাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (Japan, US and France) ।
নিজস্ব সংবাদদাতা: চীন এখন গোটা বিশ্বের কাছে আলোচনার বিষয়। বেজিংয়ের আগ্রাসন নীতিকে অকেকেই ভালো ভাবে মেনে নিতে পারছে না। একই সাথে চীন কাউকে বিশেষ পাত্তা দিতেও চাইছে না। পূর্ব চীন সাগরে চীনের আধিপত্য থামাতে চায় অনেক দেশ। সেই কারণে আগামী বছর মে মাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (Japan, US and France) । জাপানের সাঙ্কেই পত্রিকা এই তথ্য জানিয়েছে। তবে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


জানা যাচ্ছে, পূর্ব চীন সাগরে জাপান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপাঞ্চলের সাগরে ও স্থলভাগে মহড়া চালানো হবে। জাপান নিয়ন্ত্রিত ঐ দ্বীপাঞ্চলকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে অনেক দিন ধরেই দাবি করে চলেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য এই মহড়া বলা হচ্ছে। তবে এর পিছনে অন্য অঙ্ক আছে বলে মনে করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ফরাসি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পিয়ের ভনদিয়ের জানান, “আমরা ঐ অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরো দৃঢ় করতে চাই। জাপান ও ফ্রান্সের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে একটি বার্তা দিতে চাই।” আর এই বার্তা অবশ্যই চীনের জন্য।
[ আরও পড়ুন ] চীন ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশাল বাঁধ বানাতে চলেছে
যদিও এই বিষয়ে চীন জানিয়েছে, ঐ অঞ্চলে তাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভাবে শান্তিপূর্ণ। তবে পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে চীনের নৌবাহিনীর অতিরিক্ত সক্রিয়তা নিয়ে জাপানের উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। জাপানের প্রধান লক্ষ্য ফ্রান্সসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ পূর্ব এশিয়ায় চীনের সামুদ্রিক বিস্তারে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। চীন তার আশপাশের অঞ্চলকে বদলে দিতে চাইছে, তার মোকাবিলায় টোকিও রাজনৈতিক সমর্থন চাইছে। জাপান মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে, নিরাপত্তা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে।